তারাবির নামাজ নিয়ে সরকারি নির্দেশনা না মানলেই আইনানুগ ব্যবস্থা !!

আসন্ন মাহে রমজান মাসে এশা ও তারাবির নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম ও ২ জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বাকিদের ঘরে বসে আদায় করতে হবে। সরকারি এই নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।আজ শুক্রবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা রমজানে তারাবির নামাজ ঘরে আদায় করার নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোমা ভা’ইরাস ম”হামারি আকার ধারণ করায় বাংলাদেশে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম জনসাধারণকে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন মুসল্লির উপস্থিতিতে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে গত ৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আগের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নতুন এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

পবিত্র মাহে রমজানে এশার জামায়াতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম ও ২ জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এশার জামায়াত শেষে এ ১২ জনই মসজিদে তারাবিহর নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবিহ নামাজ আদায় করবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার স্বার্থে মাহে রমজান উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়োজন বা যোগদান করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।করোনা ভা’ইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *