দাম ছিল ২১ কোটি, রোজ মদ পানে অভ্যস্ত সুলতান মারা গেল হৃদরোগে!

দাম ছিল ২১ কোটি রুপি। আমি প্রতি সন্ধ্যায় মদের সাথে দুধ এবং ঘি পান করতাম! ‘সুলতান’ হঠাৎ হৃদরোগে মারা যান। না, এই সুলতান কোনো ব্যক্তি নন। হরিয়ানার একটি মহিষের নাম সুলতান।

এটা শুধু একটি মহিষ বলে মনে করা ভুল হবে। সুলতান হরিয়ানা সহ সারা ভারতে পরিচিত ছিলেন। পুরো নাম সুলতান ঝোট। হরিয়ানা থেকে আসা এই মহিষটি দামের কারণে শিরোনামে এসেছিল। দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২১ কোটি টাকা। হৃদরোগের কারণে সুলতানের আকস্মিক মৃত্যু হরিয়ানায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। খবর-আনন্দবাজার।

সুলতানের মালিক নরেশ বেনিওয়াল। হরিয়ানার কাইথলের বুড়াখেরা গ্রামের বাসিন্দা। নরেশ খুব ছোট থেকেই সুলতানকে লালন -পালন করছেন। সুলতান ছিলেন তার সন্তানের মতো। ঘি এবং দুধ সুলতানের খাদ্য ছিল। শুধু তাই নয়, ৬ ফুট লম্বা এবং ১.৫ টন ওজনের সুলতান একদিনে ১০ কেজি দুধ, ২০ কেজি গাজর, ১০ কেজি সবজি এবং ১২ কেজি পাতা খেতেন। কিন্তু সুলতানের আরেকটি নেশা ছিল। তিনি সন্ধ্যায় মদ পান করতেন।

কিন্তু কেন এত দাম, বা সুলতানের এত পরিচিতি কেন? শুধু হরিয়ানা বা পাঞ্জাবেই নয়, যেখানে পশুর মেলা হতো, সুলতান তার যোগ্যতার জন্য পুরস্কার জিততেন। ২০১৩ সালে সুলতান সর্বভারতীয় প্রাণী সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ঝাজার, কর্ণাল এবং হিসার সেরা জিতেছিলেন।

সুলতানের এত চাহিদার কারণ? সুলতানের বীর্যের ব্যাপক চাহিদা ছিল। তার মালিক নরেশ দাবি করেন, তিনি সুলতানের বীর্য বিক্রি করে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করতেন। সুলতান বছরে ৩০,০০০ ডোজ বীর্য বিক্রি করতেন। প্রতি ডোজ মূল্য ৩০৬ টাকা। আর সে কারণেই সুলতানের দাম এত বিশাল ছিল। রাজস্থানের পুষ্কর গরুর মেলায় সুলতানের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২১ কোটি টাকা। কিন্তু তার মালিক নরেশ বলেন, সুলতান তার সন্তানের মতো। এই বিশাল মূল্য পাওয়ার পরও তিনি তা বিক্রি করেননি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *