দিল্লির পর এবার তেতে উঠল ভারতের মেঘালয় – নি’হত ১ !!
ভারতের সংধোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লিতে মৃ’ত্যু’মিছিল অব্যাহত। তাঁর মধ্যেই সংধোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) নিয়ে এবার তেতে উঠল ভারতের মেঘালয়।
সেখানে খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ) এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘ’র্ষে এক জন প্রাণ হারিয়েছে। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। তাঁর জেরে মেঘালয়ের ছয়টি জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কার্ফিউ জারি শিলংসহ একাধিক এলাকায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘ’র্ষ চলাকালীন বাজার সংলগ্ন একটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বি’ক্ষো’ভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতেও। সংঘ’র্ষ চালকালীনই লুরশাই হাইনিউতা নামের এক কেএসইউ সদস্যের মৃ’ত্যু হয়। সংঘ’র্ষ থামাতে গিয়ে আ’হত হন একাধিক পুলিশকর্মীও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিলং-সহ একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় পূর্ব জয়ন্তিয়া, পশ্চিম জয়ন্তিয়া, পূর্ব খাসি, রি ভই, পশ্চিম খাসি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পার্বত্য এলাকায়।মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে নজর রাখতে একাধিক জায়গায় নামানো হয়েছে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)।
উল্লেখ্য, সীমান্ত সংলগ্ন জনজাতিপূর্ণ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বাইরে থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি লাগে। যা ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) হিসাবে পরিচিত। সিএএ চালু হলে এই ইনার লাইন পারমিট প্রথার উপর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা সেখানকার বাসিন্দাদের। পূর্ব খাসি পার্বত্য অঞ্চলের ইছামতী এলাকায় শুক্রবার তা নিয়ে বিশেষ বৈঠক চলছিল কেএসইউ এবং অ-জনজাতি প্রতিনিধিদের মধ্যে। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘ’র্ষ বাধে।সূত্রঃ আনন্দবাজার