দুই গাঁজাসেবীকে তাবলীগে পাঠালো পুলিশ !!
শেরপুরের ষাটোর্ধ দুই গাঁজাসেবীকে আটকের পর তাবলীগে পাঠালেন ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফায়েজুর রহমান।রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আটকের পর নিয়মিত গাঁজা সেবনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। এরপর তাদের তাবলীগে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।এ সময় নিজ অর্থায়নে তাদের জন্য নতুন পাঞ্জাবী-পাজামা ও টুপি কিনে দিয়ে ঝিনাইগাতী থানা জামে মসজিদের পেশ ইমামের মাধ্যমে তাবলীগে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফায়েজুর রহমান বলেন, ওই দুই গাঁজাসেবী ইতোপূর্বে গাঁজা সেবনের দায়ে হাজত খেটেছেন। রোববার আটকের পর তারা সুস্থ জীবনে ফেরার অনুরোধ করলে তাদের তাবলীগে পাঠানোর প্রস্তাব দেই। এ সময় তারা দুজনেই খুশিমনে রাজি হয়ে যায়। পরবর্তীতে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর হুজুরের মাধ্যমে তাদের তাবলীগে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আগামীকাল সকালে তারা চিল্লায় (তাবলীগ জামাত) যোগ দিবে।
গাঁজাসেবী ওই দুজনের মধ্যে একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবি (৬৫)। তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তর ধানশাইল চকপাড়া এলাকার মৃত রহিম মণ্ডলের ছেলে। তিনি জামালপুর ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ এলাকা থেকে পাইকারী কাঁচা বাজার ক্রয় করে স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি করতেন।অপরজন মো.ওমর মিয়া (৬৫)। তিনি একই উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন গাঁজা সেবনের ফলে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি বলেন, যেকোনো মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই স্থানীয়ভাবে যাতে কোন মাদকসেবী মাদক গ্রহণ ও ব্যবসা করতে না পারে। এজন্য আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে ও থাকবে। আর আমরা চাই, সকল মাদকসেবীই সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক।
তাই আমরা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টির ব্যাপারেও জোর দিই। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুজনকে আমরা তাবলীগে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে তারাও সুস্থ জীবনে ফিরে আসবে। সূত্র- ডিবিসি নিউজ