দুই ঘণ্টার মধ্যে সালমান খানের বাড়ি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি, এরপর যা ঘটলো…
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798

এবার বলিউড ভাইজান সালমান খানের বাড়িতে বোমা রাখা। দু’ঘণ্টার মধ্যে বিস্ফোরণে উড়ে যেতে পারে গ্যালাক্সি। আটকানোর ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান। ঠিক এভাবেই ইমেইলে এলো হুমকি। যা নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় সালমানের পরিবারে। কিন্তু ভক্তদের জন্য সুখবর হলো, সালমানের বাড়িতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে সবকিছু বহাল তবিয়তে আছে।
কিন্তু যে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে তার পরিচয় জানলে আশ্চর্য হবেন পাঠক। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ১৬ বছরের এক কিশোর ভুয়া ইমেইলে হুমকি দিয়েছিল। ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা সে। ভুয়া মেইল ব্যবহার করা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে তাকে আটক করে বান্দ্রা থানার পুলিশ।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ওই কিশোর মুম্বাই পুলিশকে মেইলটি পাঠিয়েছিল। সে লেখে, মেইলটি পাঠানোর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট বিস্ফোরণে উড়ে যাবে। আটকানোর হলে আটকে নিন। এমন মেইল পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার ড. মনোজ কুমার শর্মাসহ পুলিশের একটি দল ও বম্ব স্কোয়াড দ্রুত সালমানের বান্দ্রার বাড়িতে পৌঁছায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না সালমান।
এরপর বাবা সেলিম খান, মা সালমা খান, বোন অর্পিতাসহ ভাইজানের গোটা পরিবারকে বের করে এনে শুরু হয় তল্লাশি। দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। কিন্তু সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়নি। বান্দ্রা পুলিশের এক সদস্য ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানায়, প্রায় তিন-চার ঘণ্টা ধরে আমরা অ্যাপার্টমেন্টের প্রতিটি কোণে খুঁজেছি। তারপর অভিনেতার পরিবারকে ঘরে ঢুকতে বলা হয়।
এদিকে ইমেইলের সূত্র ধরে গাজিয়াবাদ থেকে আটক করা হয় অভিযুক্ত কিশোরকে। পরে তিস হাজারি আদালতে তোলা হয় তাকে। অভিযুক্তের দাদার সঙ্গে কথা বলার পর ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় জুভেনাইল কোর্টে। এরপর শর্তসাপেক্ষে কিশোরকে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে গত সেপ্টেম্বরে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার শুনানির আগে ফেসবুকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল সালমান খানকে। গ্যারি শুটার নামের এক ব্যক্তি একটি ফেসবুক পেজে সালমানকে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টটি করেছিল। পরে এই হুমকি বার্তা আবার হিন্দি ভাষায় ‘সোপু’ নামে একটি গ্রুপের তরফে পোস্ট করা হয়। তাদের বক্তব্য, সালমান ভারতীয় আইনবিধি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আইন থেকে তার মুক্তি নেই।