দুটি বাল্ব ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে বিদ্যুৎ বিল ১০ লাখ টাকা !!

এবার একটি ফ্রিজ আর দুটি বাল্ব চালিয়ে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ টাকা। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইলের সাহা পাড়া এলাকায় দুলাল মিয়ার মিটারে এমন অদ্ভুত বিল তৈরি করেছে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেলদুয়ার জোনাল অফিস। মিটারে এত টাকা বিল দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বাড়িওয়ালা দুলাল মিয়া।

জানা গেছে, ডিসেম্বরের বিলের কাগজে বর্তমান রিডিং ৯৪৫৭০ ও পূর্বের রিডিং ৯৪৪০ ইউনিট দেখানো হয়েছে। এতে ব্যবহার হয়েছে ৮৫১৩০ ইউনিট। ব্যবহৃত ৮৫১৩০ ইউনিট দেখিয়ে ডিসেম্বরে বিল তৈরি করা হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯শ ৪৫টাকা। জরিমানাসহ ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩শ ৭০টাকা। যা প্রায় ১০ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে মিটারের মালিক দুলাল মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্য। তার বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রয়েছে। মিটারের নম্বর ০৯২৩৩৩৪। এসএমএস হিসাব নং ১০০২০৩৩৫০২০৩০। এই মিটার থেকে একটি ফ্রিজ আর দুটি বাল্ব ও একটি টেলিভিশন চালানো হয়। নিয়মিত ৫ থেকে ৬শ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। হঠাৎ দশ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেখে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

দুলাল মিয়া বলেন, ‘তার মিটারে নভেম্বর মাসে বিল এসেছে ৪শ ৯৫ টাকা। নভেম্বর পর্যন্ত তার সব বিল পরিশোধ রয়েছে। বিল পরিশোধের বাৎসরিক সার্টিফিকেটও (ক্লিয়ারেন্স) রয়েছে। দশ লাখ টাকা বিল দেখায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী বিলের কাগজটি নিয়ে যায়।’

তবে বিলের কাগজ হাতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার ছেলে নাহিদ খন্দকার বিলের ছবি তুলে রাখেন। বিলের কাগজ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস নিলেও পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা এড়াতে আইনের আশ্রয় নেয়ার বথা ভাবছেন দুলাল মিয়া।

এ ব্যাপারে নাহিদ খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোক এসে বিলটি হাতে দেয়। দশ লাখ টাকা বিল দেখে আশ্চর্য হয়ে বিলের বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের লোকটিকে জানান এবং বিলের কপির একটি ছবি তুলে রাখেন। পরে বিলের কপিটি বিদ্যুৎ অফিসের লোক নিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেলদুয়ার জোনাল অফিসের ডিজিএম বিল্পব কুমার সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। একটি আবাসিক মিটারের এমন বিল হওয়ার কথা নয়। ভুল পোস্টিংয়ের কারণে এমন বিল হতে পারে। বাড়িওয়ালার দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি অবশ্যই বিলটি সংশোধন করে দেব।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *