দেশে মাস্ক না পরে বের হলে ৬ মাসের সাজা, লাখ টাকা জরিমানা !!

চলমান করোনা সংকটের মধ্যে বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থবিধি মেনে না চললে ছয় মাসের করাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। (শনিবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ নির্দেশনা জারি করেন।

দেশে সংক্রমণের মাত্রা উর্ধ্বমুখী থাকলেও টানা ৬৬ দিন পর রোববার থেকে খুলছে সব ধরণের কার্যক্রম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন এবং জনসাধারণের চলাচলে কঠোরতা উঠিয়ে নেয়ার মতো সিদ্ধান্তের অনুমোদন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ ( ২০১৮ সালের ৬১ নং আইন)-এর ধারা ২৪(১), ২ ও ধারা ২৫(১), (ক, খ) এবং ধারা ২৫(২) অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালীন জনসাধারণ এবং সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি ব্যতিত কোনোভাবেই বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে সর্বাবস্থায় বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এদিকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ধারা ২৪(১)-এ বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার কাছে গোপন করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ।

২৪ (২) বলা আছে যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হবেন।একই আইনের ২৫(১)(ক, খ) এ বলা আছে- মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার ওপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

২৫ (২) তে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ড, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *