দ্বিতীয়বারের মতো আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন কাদের !!

ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল দুই দিনব্যাপী আগামী ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার শুরু হবে। কাউন্সিল উপলক্ষে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে কাউন্সিলস্থল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি করা হয়েছে সম্মেলন মঞ্চ। মঞ্চ সাজসজ্জা উপকমিটির নেতারা নিয়মিত সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে নেতৃত্বে কারা আসছে তা নিয়ে নানা কৌতূহল থাকলেও দলটির সভাপতি পদ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কারণ এই পদটিতে বরাবরের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন তা নিশ্চিত। তবে দল-মত নির্বিশেষে সবার কৌতূহল- কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক? ওবায়দুল কাদেরই থাকছেন, নাকি নতুন কেউ? এই পদটিতে এখনও কেউ নিশ্চিত নন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে চাইবেন তিনিই হবেন আগামী দিনের সাধারণ সম্পাদক। এই পদে কে আসছেন তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে শনিবার দলটির ২য় কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত।

এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়া এই মুহূর্তে সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তবে পুরো বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে।

তবে আলোচনায় যারাই থাকুক না কেন, টানা দ্বিতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদেরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন সে বিষয়ে আভাস দিয়েছেন দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ গতকাল সোমবার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পাঁচবার।’

অন্যান্য কাউন্সিল ঘেঁটে দেখা যাবে সবাই দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও দুই মেয়াদে ছিলেন। তাছাড়া বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ভালো কাজ করছেন। তিনি আরেকটি মেয়াদ থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তিনি এখন পুরোদমে সুস্থ। কাউন্সিলে এ পদে নতুন কাউকে দেখব বলে মনে হয় না।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, ‘যেসব কারণে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসার কথা তেমন কিছু ঘটেনি। একটা সময় বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ থাকলেও তিনি এখন সুস্থ। কাজও করছেন স্বাভাবিকভাবে। এ পদে পরিবর্তন হওয়ার মতো কিছু দেখছি না।’

এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিতই থাকছে। সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক নেতার নাম উঠে এলেও রীতি অনুযায়ী কাউন্সিল অধিবেশনে কেউ প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন না।’

তারা আরও বলেন, ‘সাধারণত তৃণমূলের নানা অভিযোগের কারণেই সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনে গুরুত্ব দেন দলের হাইকমান্ড। বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ নেই। তিনি সারা দেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলীয় কাজে তার প্রতি অনেকটাই সন্তুষ্ট আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। সে হিসেবে ধরেই নেয়া যায়, ওবায়দুল কাদেরই ফের সাধারণ সম্পাদক থাকছেন।’

এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি দ্বিতীয়বার পার্টির সাধারণ সম্পাদক থাকব কিনা, তা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, আমি নিজে প্রার্থী হব না। নেত্রী দায়িত্ব দিলে অমত করব না। তিনি চাইলে আবার দায়িত্ব দেবেন, না চাইলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেবেন। ওনার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে চলব।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *