দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ !!

ম’রণঘাতী করোনা ভা’ইরাস শেষ না হতেই আবার দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে শুরু করেছে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে।এমন অবস্থা ঠেকাতে ফের কড়াকড়ি জার্মানি, পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের। নতুনভাবে দেয়া হয়েছে লকডাউন। যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বেড়েছে সংক্রমণ।

সম্মিলিত প্রচেষ্টার তাগিদ দিলো জাতিসংঘ। মার্চ-এপ্রিলে সর্বোচ্চ সংক্রমণের পর, ভা’ইরাসের বিস্তার অনেকটা কমে আসে জার্মানিতে। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় শিথিল হয় কড়াকড়ি।এক মাস বিরতি দিয়ে দেশটিতে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। এরই মধ্যে লকডাউনে গেছে নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া প্রদেশের বিভিন্ন শহর।

জার্মানির ভার্ল শহরের মেয়র মিখাইল ইস্কেন বলেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মারাত্মক ছোঁয়াচে এ ভা’ইরাসের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিক দূরত্বের কিছু নিয়ম এখন সবসময়ের জন্য। তা না হলে এভাবেই বারবার বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে ফিরতে হবে।লম্বা সময় পর, মঙ্গলবার আবারও করোনায় প্রাণহানি দেখেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রকোপ বেড়েছে ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে, নতুন প্রকোপের পর, চলছে লকডাউন।

বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক প্রশংসিত, দক্ষিণ কোরিয়ায়ও হঠাৎ বেড়েছে সংক্রমণ। যাকে, এরইমধ্যে, ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ বলে অভিহিত করেছে প্রশাসন।সিউলের মেয়র পার্ক ওন-সুন বলেন, রাজধানীতে সংক্রমণ মানে পুরো দেশ আক্রান্ত হওয়া। যে হারে বিস্তার বাড়ছে, তাতে চলতি মাসেই দৈনিক গড় সংক্রমণ ৮শ’ ছাড়াতে পারে। অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় মহামারি থেকে মাত্র এক মাস দূরে আছি আমরা।

মহামারি শুরুর পর, গত ৭ দিনে, রেকর্ড সোয়া দু’লাখ নতুন সংক্রমণ দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, অ্যারিজোনায় প্রতিদিন রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ৫০ রাজ্যের মধ্যে ৩৩-টিতেই গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সংক্রমণ।যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিদ ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফসি বলেন, কঠিন পরিস্থিতি পার করে মহামারি নিয়ন্ত্রণে খুব সতর্ক নিউইয়র্ক, যা সন্তোষজনক।

কিন্তু এ পর্যায়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সংক্রমণের গতিবৃদ্ধি দুশ্চিন্তার ব্যাপার। নতুন সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ। দ্বিতীয় দফার মহামারি ঠেকাতে, এখন থেকেই, সম্মিলিত প্রচেষ্টার তাগিদ সংস্থাটির।জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, চীন থেকে ইউরোপে-উত্তর আমেরিকা, আর এখন দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা আর ভারতে মহামারি সরে গেছে।

তাও অনেক দেশে চিকিৎসা, নমুনা পরীক্ষাসহ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক কোনো দিক থেকেই সমন্বয় দেখা যাচ্ছে না। ফলে যেকোনো মুহূর্তে মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কা আসন্ন।রোগবিদরা বলছেন, আগের সব মহামারি-ই দ্বিতীয় দফায় আঘাত হেনেছে। শতবছর আগে, স্প্যানিশ ফ্লু’র সময় প্রথম দফার চেয়েও বেশি মৃত্যু হয় দ্বিতীয় দফা বিস্তারে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *