নদী ভাঙনে ৭ বার বসতবাড়ি হারিয়েছি, ভাঙতে ভাঙতে সবকিছু গেছে গা

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বাসিন্দা হালিমা বেগম নদী ভাঙনের কারণে সাতবার বাড়ি হারিয়েছেন। শেষ স্থানটি ছিল উপজেলার উত্তর সিরাজাবাদ গ্রামে। সেটাও এবার মিলিয়ে গেছে। পরিবারের আট সদস্যের সঙ্গে তিনি এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন।

রহিমা বেগম বলেন, ‘অঙ্গার সাতটি (সাতবার) ভেঙে গেছে। সবকিছু ভেঙে গেছে। আমি কিছু বস্তি (আসবাবপত্র) নিয়েছি। এটা তার নিজের জমি নয়। আমি এক ধরনের খুঁটি নিয়ে রাস্তায় আছি। কিন্তু আমরা আর কতদিন এইভাবে শিশু নিয়ে রাস্তায় থাকব? ‘

শুধু রহিমা বেগমই নন, জামালপুরের অন্তত ৩০ টি পরিবার তাদের শেষ আশ্রয় হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অমানবিক জীবন যাপন করছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শত শত বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীর তলায় চলে গেছে।

সরকারের মতে, ৬৫ টি পরিবার ধ্বংসের কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, বাড়িঘর, ফসলি জমি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয়রা ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করার দাবি জানান।

গত কয়েক দিনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ ও খোলাবাড়ি রাস্তার ৩০০ মিটার ভেসে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেওয়ানগঞ্জে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। খোলাবাড়ি রাস্তার পাশে বসবাসকারী ২০ টি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

খোলা বাড়ির রাস্তা ভেঙে আহত সামাদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাড়ি দুই -তিন রাত আগে ভাঙার সময় অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমি বাকি অর্ধেক ভেঙ্গে এখানে এনেছি। আমাদের বাড়ি বানানোর জায়গা নেই। তাই আমি রাস্তায় আছি। যাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে তারা ঘর পাবে। কিন্তু আমরা কি করব? আমরা নিস্ব হয়ে গেছি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *