নলকূপ দিয়ে সমানে বের হচ্ছে গ্যাস – আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী !!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় একটি স্কুলে নলকূপ বসানোর সময় সেখান থেকে তীব্র গতিতে গ্যাস বের হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীন গ্যাসের চাপে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার বিদ্যানগর এলাকার শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিষয়টি দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। গতকাল সকাল থেকে দ্রুত গতিতে এ গ্যাস বের হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে দ্রুত গতির এ গ্যাস বের হওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন ওই স্কুলটির কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। ভবন ধসে পড়ার আশংকায় আসবাবপত্র অন্য ভবনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েক ইউনিয়নের সালদা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছে অষ্টজঙ্গল এলাকায় শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের মাঠে সরকারিভাবে একটি গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে। ওই নলকূপের বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে।
এমতাবস্থায় নলকূপের পাইপ দিয়ে বুধবার সকাল থেকে দ্রুতগতিতে গ্যাস বের হচ্ছে। এতে বালু, গ্যাস, পানির সংমিশ্রণ রয়েছে। কোনভাবে গ্যাস বের হওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। খবর পেয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় গ্যাস দ্রুত গতিতে বের হওয়ায় বিদ্যালয়ের একটি ভবন ঝুঁকির মধ্যে চলে আসে। গ্যাস, বালু আর পানিতে পুরো মাঠ ভরে গেছে। এ সময় ওই ভবন থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের চারদিকে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। বিদ্যালয়ের চারপাশে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল-মামুন ভূইয়া বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে একটি গভীর নলকূপ বসাতে গেলে এটি দিয়ে দ্রুত গতিতে গ্যাস, বালু ও পানি বের হচ্ছে। আস্তে আস্তে গভীর হয়ে যাচ্ছে নলকূপের গর্তটি। ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে।
বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং এ এলাকার সংসদ সদস্য আনিসুল হককে জানানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই ভবনের আসবাবপত্র অনত্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্কুলের কার্যাক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের চারপাশে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’