নির্মাণের ৬ দিনের মাথায় হাতের ছোঁয়ায় উঠে যাচ্ছে পিচঢালা !!

নির্মাণের ছয় দিন পরেই বেহাল দশায় পরিণত শরীয়তপুরের ৬ কিলোমিটার শরীয়তপুর-ভেদরগঞ্জ-কাশিমপুর পাকা সড়ক।হাতের খোঁচাতেই সড়কটির পিচঢালাই উঠে যাচ্ছে। এ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের।

তবে কার্পেটিং উঠে যাওয়া স্থানে নতুন করে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। কিন্তু সন্তুষ্ট না হয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।নির্মাণ চলাকালীন সময়ে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার কারনে তাৎক্ষনিকভাবে ঠিকাদারকে দিয়ে মেরামত করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন।

এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর-ভেদরগঞ্জ-কাশিমপুর সড়কে এলজিইডি ভেদরগঞ্জ উপজেলার অধীনে প্রায় ৫ দশমিক ৪৯০ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের জন্য ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ কাজের সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে শেখ এন্টার প্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গত ৩ জুন ২০১৯ তারিখে কার্যাদেশ দেয়া হয়। ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭৪ টাকা ব্যয় ধরে মাত্র ১৮০দিন সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আদেশ হয়। গত ২ ডিসেম্বর কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

হাসেম আলী ও আবু মুনসুর রহমান নামের স্থানীয় জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শেখ এন্টার প্রাইজের মালিক মানিক শেখ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে দ্রুত সময়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তার কাজ শেষ করে দেয়। তাই কাজ শেষ হতে না হতেই ৬ কিলোমিটারের পুরো রাস্তায়ই ফাটল ধরে। স্থানীরা এ ফাটলে হাত দিলে পুরো কার্পেটিং উঠে যায়।

যানবাহনের চাকার ঘর্ষণেও কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে বলে জানান কোড়ালতলী এলাকার আবুল কাসেম আজাদ।তিনি বলেন, রাস্তাটির পিচঢালা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। যে পরিমান পুরুত্ব দেয়ার কথা তা দেয়নি। তাই সরকারের পুরো টাকাই ভেস্তে গেছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শেখ এন্টার প্রাইজের মালিক মানিক শেখের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভেদেরগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ রাস্তায় কার্পেটিংয়ের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম ৪০ মিলি। আর অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২৫ মিলি। কার্পেটিংয়ের থিকনেস কম থাকায় গাড়ির চাকার ঘর্ষণে রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। আমরা বিষয়টি দেখার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দ্রুতসম্ভব মেরামত করে নিয়েছি।

সূত্রঃ যুগান্তর

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *