নিহত ব্যাংকারের স্ত্রীর জ্ঞান ফিরতেই খুঁজছে স্বামী-সন্তানদের !!
আজ রবিবার সকালের দিকে নিহত ব্যাংকার সাইফুজ্জামান খান মিন্টুর স্ত্রীর জ্ঞান ফিরেছে। কথা বলার শক্তি নাই তবুও চোখের ইশারায় ছেলে-মেয়ে ও স্বামীর কথা জানতে চাইলেন। কনিকা এখনো জানে না তার স্বামী সাইফুজ্জামান ও দুই মেয়ে বেঁচে নেই। এখনই তাকে সে খবর জানাতে রাজী নন চিকিৎসকরা। তাই বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন পরিবারের সদস্যরাও।
শুধু তাই নয়, ৯০ বছর বয়সী সাইফুজ্জামান খান মিন্টুর মা আয়েশা রহমানও বুঝে উঠতে পারছেন না, বাসার সবাই মুঠোফোনে কেন এতো ব্যস্ত। ফোনে কি কথা হচ্ছে তা বুঝতে না পারলেও সবার কান্নাভেজা চোখ দেখে কিছু একটা হয়েছে তা আন্দাজ করতে পারছেন।
এদিকে আয়েশা রহমান ব্যতিব্যস্ত হয়ে বারবার জানতে চাইছেন ছেলেরা চট্টগ্রামে তাড়াহুড়ো করে কেন গেল? বয়স্ক মা যেন বুঝতে না পারেন তাই আড়ালে কাঁদছেন সবাই।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে চমেক হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহত সাইফুজ্জামানের সেজো ভাই কুমিল্লার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জেড আই মিজানুর রহমান খান, ছোট ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জেড আই মনিরুজ্জামান খান, বড় ভাই কক্সবাজার বিজিবির পরিচালক কর্নেল জেড আই নজরুল ইসলাম খান।
আজগর আলী হাসপাতালের চাইল্ড স্পেশালিস্ট বড় ভাই নজরুলের স্ত্রী ডাক্তার নাসিম জাহান জেসি নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে বেড়াতে গিয়েছিল ভালো সময় কাটাতে। কিন্তু ভালো সময়টা যে আজ এভাবে আসবে তা কখনোই ভাবিনি।’
এ সময় ভাই মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘আমার ভাই দুই মেয়েকে নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। ভাবি আর বাচ্চা চিকিৎসাধীন। আমি এখন তাদের কি জবাব দিবো।’তিনি আরো বলেন, ‘নিহত মিন্টু ও দুই মেয়ের লাশ নিয়ে সরাসরি চাঁদপুরের নিশ্চিন্তপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’