Health

পবিত্র মদিনায় গবেষণায় প্রমাণ – কালোজিরা করোনা চিকিৎসায় নিরাপদ ও কার্যকর !!

প্রাকৃতিক জিনিসে করোনা চিকিৎসা করা গেলে, সেটা যেমন সহজ হবে; একই সঙ্গে কম খরচে সেসব সহজলভ্য হবে। আর প্রাকৃতিকভাবে চিকিৎসা করা গেলে বিশ্ববাসীর কাছে দ্রুত তা পৌঁছে যাবে। সৌদি আরবের মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীর সফলভাবে চিকিৎসা করেছেন তারা। এজন্য কালোজিরা ব্যবহার করা হয়েছে; যা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি। ওই গবেষকদলের গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ। আর সেটা যে কেউ চাইলেই দেখতে পারবে।

মুসলিম ইঙ্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কালোজিরা হলো সর্বরোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ওষুধ। তবে বিষ ছাড়া। আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করেছেন, বিষ কী? রাসূল (সা.) বলেছেন, মৃত্যু। (সহীহ বুখারি-৫৩৬৩) গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, কালোজিরা ব্যবহারের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। টিস্যু সুরক্ষিত থাকে, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয় না এবং ভা’ইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কালোজিরা হলো রাসূল (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা উপকরণ। এটা বীজ আকারেই খাওয়া যায়, চাইলে গুঁড়া করেও খাওয়া যায়। এছাড়া খাবারের সঙ্গে কিংবা জুস আকারেও খাওয়া যায়। অনেকেই এর তেল খান।

কালোজিরার নানা রকম গুণ রয়েছে। কারণ, এতে রয়েছে- নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফেট, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি ২, নায়াসিন, ভিটামিন-সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট। গবেষকদের দাবি, কালোজিরা ব্যবহারের ফলে মারাত্মক সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়, ফুসফুসের সমস্যা ধীরে ধীরে সেরে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস এবং শ্বাসনালি ভালো রাখতে কালোজিরা দারুণ কাজের। যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে, কালোজিরা ব্যবহারে তারাও আরোগ্য লাভ করেন। শ্বাসযন্ত্রে যে কোনো ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরা অব্যর্থ ওষুধ। অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দিতেও কালোজিরা কার্যকর।

গবেষকরা দাবি করেছেন, ভা’ইরাল হেপাটাইটিস সি-তে আ’ক্রান্ত রোগীও কালোজিরা ব্যবহারে উপকার পায়। এইচআইভি এইডস-এ আ’ক্রান্ত রোগীও কালোজিরা ব্যবহারে উপকার পান। করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলার জন্য গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন-

দুই গ্রাম কালোজিরা, এক গ্রাম চামেলি ফুল, এক চামচ মধু একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এসব খাওয়ার পর জুস কিংবা একটি কমলা খাওয়া যেতে পারে। লেবু খেতে পারলে ভালো হয়। এভাবে প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে। করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে খেতে হবে। গবেষকরা আরো বলছেন, রোগী আ’ক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলে প্রথম সপ্তাহে দিনে পাঁচবার এভাবে খেতে হবে। আর পরবর্তী সময়ে মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনে একবার করে খেতে হবে। রোগীর যদি কাশি বেশি হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে কালোজিরা এবং লবঙ্গ মেশানো পানি গরম করে ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নিতে পারেন। কিংবা কালোজিরা ও চামেলি পানিতে গরম করেও বাষ্প টেনে নিতে পারেন।

গবেষকরা বলছেন, যদি অক্সিজেনের অভাব হয়, তাহলে এক চামচ কালোজিরা, এক চামচ চামেলি এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে হালকা গরম করতে হবে। এভাবে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার পানি গরম করে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে। জানা গেছে, সৌদি আরবের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার মেডিসন বিভাগের গবেষকরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন।

গবেষকদের একজন ডা. সালেহ মুহাম্মদ বলেন, কালোজিরা এবং চামেলি করোনা সংক্রমণ বন্ধ করে দিতে সক্ষম। আল্লাহর রহমতে, যেসব করোনা রোগীদের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই সেরে উঠছে, তারা নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এই পদ্ধতিতে রোগীদের সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগছে না।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button