পরকীয়ার জেরে শিক্ষকের লি’ঙ্গ কাটলেন স্ত্রী, এরপর…

বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কে’টে দিয়েছে স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটার দিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নলবুনিয়া গোড়াপাড়া গ্রামের আঃ গনি তালুকদারের পুত্র ও আগাপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহতাবের (৪০) সাথে একই এলাকার আগাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামে মেয়ে আয়েশা বেগমের (৩০) ২০০৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ১২ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের কোন সন্তানাদি না হওয়ায় তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি ও পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো।

ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রী বাড়ীতে রাত্রিযাপন করেন। রাত অনুমান আড়াইটার দিকে স্বামী মাহাতাব তার পুরুষাঙ্গে প্রচুর ব্যথা অনুভব করলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙ্গে দেখতে পান তার পরনের কাপড় রক্তে ভেজা। তখন স্ত্রীকে ডেকে না পেয়ে তিনি চিৎকার দিতে থাকেন। তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন এসে দেখেন শিক্ষক মাহতাবের পুরুষাঙ্গ কাটা ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ সময় মাহাতাবের স্ত্রীকে ঘরে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর ধারণা স্ত্রী আয়েশা বেগম স্বামীকে অচেতন করে ঘুমের মধ্যে তার পুরুষাঙ্গ কে’টে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে একটি ধারালো চাকু ও পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। আহত অবস্থায় স্বজনরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্ত্রী আয়েশা বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামীর সাথে তার বিদ্যালয়ের একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি সে মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের পরকিয়া সম্পর্ক এখনো আছে। সে কারণে আমি সন্তান নিতে চাইলেও সে সন্তান নিতে চায় না। যা নিয়ে প্রায়ই আমাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগে থাকে। এ ঘটনা নিয়ে রাতে স্বামী মাহাতাবের সাথে আমার কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। রাতে সে আমাকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এরপর আমি আমার বাপের বাড়ী চলে যাই। সকালে তার পুরুষাঙ্গ কে’টে ফেলার সংবাদ শুনেছি।

তালতলী থানার ওসি মো. শাহীনুর রহমান বলেন, লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *