পশ্চিমবঙ্গের পর এবার ১৪৮ কি:মি গতিতে সাতক্ষীরায় আঘাত !!
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ সাতক্ষীরা জেলার ঝড়ো হাওয়া বইছে। সাতক্ষীরা তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে সুন্দরবনঘেঁষা এ জেলায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, স্থলভাগে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টি একটু দুর্বল হয়েছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি।
এখন উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ ছাড়াও সাগর উত্তাল থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে এসে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যাবে এমন মন্তব্য করে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপের উপকূল ধরে সাতক্ষীরা হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটি খুলনা, যশোর, মাগুরা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের উপর দিয়ে চলে যাবে। এবং ক্রমশ দুর্বল একটি অংশ সিলেটে প্রবেশ করার আশঙ্কা রয়েছে।
সতর্ক সংকেত-ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের সংকেতের আওতায় থাকবে।