পানির বোতল উঁচিয়ে ধরল সবাই, মাইকে ফুঁ দিলেন কবিরাজ, এরপর…

তেল-পানির বোতল নিয়ে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পুরুষ অপেক্ষা করেছেন। সবার অপেক্ষা একজন কবিরাজের জন্য। ওই কবিরাজ থেকে পানি পড়া, তেল পড়া নেবেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সবুজ মিয়া নামে পেশায় কাঠুরিয়া ওই কবিরাজ এলেন। অবশেষে মাইকে ফুঁ দিলেন।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের চরপলাশ গ্রামের একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ভোর থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।

সকাল ৮টার আগেই প্রায় ৫০ সহস্রাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে ওঠে ওই বিশাল মাঠ। কাঠুরিয়া কবিরাজ সবুজ মিয়া আসবেন বলে মাঠে মঞ্চও তৈরি করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কাঠুরিয়া কবিরাজের ঝাড়ফুঁকের পানি খেলে এবং তেল মালিশ করলে সব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং মনোবাসনা পূরণ হবে এমন অন্ধ বিশ্বাস থেকে সেখানে উপস্থিত হন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। ভক্তদের অনেক অপেক্ষার পর বেলা ১১টার দিকে কাঠুরিয়া কবিরাজের আগমন বার্তা মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। তার সঙ্গে এলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও সুখিয়া ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ টিটু।

মঞ্চে উঠে কাঠুরিয়া কবিরাজ উপস্থিত লোকজনকে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। কিছুক্ষণ পর সমাগত নারী-পুরুষদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি মাইকে ফুঁ দেব। মাইকে আমার ফুঁয়ের আওয়াজ যে পর্যন্ত যাবে সে পর্যন্ত তেল-পানির বোতল কাজ করবে। কেউ ধৈর্য হারাবেন না।’

এমন ঘোষণার পর চারপাশে অবস্থান করা হাজার হাজার নারী-পুরুষ তেল-পানির বোতল উঁচিয়ে ধরলেন। বক্তব্য শেষ হতে না হতেই কাঠুরিয়া কবিরাজ মাইকে ফুঁ দেন। রোগবালাই দূর এবং মনোবাসনা পূরণের আনন্দ নিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরলেন সবাই।

জানা যায়, সবুজ মিয়া নামের ওই কবিরাজের বাড়ি ভালুকা উপজেলার রাজ্য ইউপির পায়লাবের গ্রামে। তিনি বনে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করেন। সপ্তাহে চারদিন কাঠ কাটেন এবং তিনদিন কবিরাজি করেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *