প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার ছেলে, কোটিপতি মেয়ের বাবার ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম !!
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798

দিনাজপুরের রাজবাটী শান্তি নিবাসে একা একা দিন কাটে একসময়ের প্রতাপশালী ঠিকাদার হুমায়ুন সাইফুল কবিরের। অঢেল টাকা রোজগার করেছেন, ছেলের বিদেশে চাকরি আর মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। ঢাকায় আটটি ফ্ল্যাট, ছেলে বিদেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মেয়ে কোটিপতি হয়েও জন্মদাতা বাবার খোঁজ নেয়নি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে। বর্তমানে হুমায়ুন সাইফুল কবিরের ছেলে রাফিউল কবির কুয়েতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চাকরি করেন। মেয়ে শারমিন কবির মিমি বাবার দেখানো পথে ঠিকাদারি করে কোটিপতি বনে গেছেন। কোটিপতি ছেলেমেয়ে থাকা সত্ত্বেও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই হুমায়ুন সাইফুল কবিরের। শেষ ঠিকানা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে।
হুমায়ুন সাইফুল কবির বলেন, ‘আমি পড়ালেখা শেষ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঢাকা হেড অফিসে সুপারভাইজার পদে তিন বছর চাকরি করেছি। কিন্তু সেখানে দুর্নীতি থাকায় তিন বছর চাকরি করার পর সেটা ছেড়ে দিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। সৎ পথে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি করে ছেলে রাফিউল কবির ও মেয়ে শারমিন কবির মিমিকে পড়ালেখা করিয়েছি। ছেলে বর্তমানে কুয়েতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চাকরি করে আর মেয়ে শারমিন কবির ঠিকাদারি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ঢাকার মোহাম্মদপুরে ৭ তলা একটি ভবনে ৮টি ফ্লাট ছিল। ছেলেকে ৪টি এবং মেয়েকে ৪টি ফ্লাট লিখে দেই। বাকি অল্প একটু জমি সেগুলো মসজিদে দান করে দিয়েছি। ছেলে বিদেশে থাকে আর মেয়ে থাকে নোয়াখালীতে। দীর্ঘ ১১ বছর আগে ছেলেমেয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এরপর তারা আর আমার কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। ঠিকাদারির সুবাদে আমি দিনাজপুরে দীর্ঘ ২৪ বছর থেকেছি। ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছি। কিন্তু সেই ছেলেমেয়েরাই আজ আমার খোঁজ খবর নেয় না।’
হুমায়ুন সাইফুল কবিরের শেষ ইচ্ছার কথা তিনি দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করে বলেছেন, ‘আমি যদি এখানেই মারা যাই তাহলে আমার লাশটা যেন অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া না হয়। এই শান্তি নিবাসের আশপাশেই আমাকে যেন কবর দেওয়া হয়।’ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল আলম বলেন, ‘যার পৃথিবীতে মা-বাবা নেই তারাই হয়ত মা বাবার কষ্ট বুঝেন। আবার যাদের মা-বাবা থেকেও তাদের প্রতি অবহেলা করেন তারা কেমন মানুষ আমি সেটা বলতে পারব না। তবে শান্তি নিবাসে থাকা বৃদ্ধ মা-বাবাদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় এজন্য সার্বক্ষণিক তাদের খবর রাখা হয়।