সৌদি আরবে বাংলাদেশী প্রবাসীর করুন মৃ’ত্যু !!

পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রামেজ মন্ডল (২৮)। কিন্তু সেই হাসি থমকে যায় গত বুধবার। অসুস্থতার কারণে সৌদিতে মৃ’ত্যু হয় পাবনার এই যুবকের।

তার ম’রদেহ দেশে আনতে চায় পরিবার। কিন্তু তার ম’রদেহ দেশে আনতে আড়াই লাখ টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন সৌদি প্রবাসী এক নিকটাত্মীয়। ছেলেকে দেশে আনতে টাকার জন্য পাগলের মতো ঘুরছে রামেজের বাবা মা।জানা যায়, অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ধার দেনা করে প্রায় ৪ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন রামেজ মন্ডল। সেখানে গিয়ে একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করে ভালোই উপার্জন করছিল তিনি।

গত বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তার সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।রামেজের মৃ’ত্যুর খবর বাবা মায়ের কাছে পৌঁছে দেন সৌদি প্রবাসী তাদের এক আত্মীয়। একই সঙ্গে তার ম’রদেহ দেশে আনতে আড়াই লাখ টাকা প্রয়োজন বলেও পরিবারকে জানান তিনি।

রামেজের চাচা হাফিজ উদ্দিন জানান, জীবিকার সন্ধানে গত চার বছর আগে রামেজ অনেক টাকা দিয়ে সৌদির রাজধানী রিয়াদে পাড়ি জমান। সেখানে কাজ করে বেশ ভালই উপার্জন করছিল সে।গত মঙ্গলবার রাতেও বাড়িতে কথা বলেছে। কথা বলার সময় বাড়িতে সে জানায় তার শরীর ভালো না। তার পর শুনেছি রাতেই সে অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে তার ম’রদেহ এখন দেশে আনতে শুনছি আড়াই লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা তো এই পরিবার কোনোভাবেই দিতে পারবে না।এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম বলেন, একজন প্রবাসী মারা গেছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের একটি সংবাদ। তার ম’রদেহ দেশে আনতে কেন টাকা প্রয়োজন হবে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।আমি জেলা সদরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করবো বিষয়টি নিয়ে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ পরিবারটির পাশে থেকে সাধ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *