প্লাজমা থেরাপি নিয়েও বাঁচলেন না এক করোনা রোগী !!

করোনা আ’ক্রান্ত এক রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দিয়েও বাঁচানো যায়নি। চন্দন দত্ত নামের ওই রোগী শনিবার সকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন।সূত্র জানায়, নগরীর কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজ সংগঠক ৬২ বছর বয়সী চন্দন দত্ত করোনা আ’ক্রান্ত হয়ে গত ২৪ মে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে করোনাজয়ী এক রোগীর কাছ থেকে রক্তের প্লাজমা সংগ্রহ করে তা চন্দন দত্তের শরীরে দেয়া হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাওয়া রক্তের প্লাজমা থেরাপি কাজে আসেনি। শনিবার সকাল ১১টার দিকে চন্দন দত্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব জানান, চন্দন দত্তের আগে থেকেই ডায়াবেটিস ছিল। তিনি গত রোববার করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শুক্রবার তার শরীরে প্লাজমা দেয়া হয়েছিল।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মচারী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। শনিবার ভোরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এই কর্মচারির নাম আবদুর রশিদ মিয়াজি (৪৫)।চট্টগ্রাম বন্দরের যান্ত্রিক বিভাগে হাইস্টার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আবদুর রশিদ মিয়াজির বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে পোর্ট কলোনিতে বসবাস করতেন।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, আমাদের এই কর্মচারী করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন শুনেছি। শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে। তবে নমুনা দেয়া হলেও পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।এর আগে আবদুল হালিম নামে চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের এক উচ্চমান বহিঃসহকারীর মৃত্যু হয়েছিল করোনায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *