ফাঁদে ফেলে বাসায় নিয়ে টাকা হাতানোই তাদের কাজ !!

বগুড়ায় অপহরণ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় বনানী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অপহরণ চক্রের সদস্যরা হলো, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার আলী মামুদপুর এলাকার ইসহাক আলীর ছেলে জনি (২৫) ও তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৯), ধুনট উপজেলার সরু গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (২৪)।জানা যায়, জনি তার স্ত্রীকে নিয়ে বনানীর র‌্যাব ক্যাম্পের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতো। সেই সাথে সাদিয়া ও সুমাইয়া সম্পর্কে খালাতো বোন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জনি ও সুমাইয়া দম্পতি কাজই হলো বিভিন্ন মানুষের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন কৌশলে ফাদে ফেলে টাকা আদায় করা। সেই রেশ ধরে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে শাহজাহানের (৩৯) সাথে ধর্ম আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরী করে তারা।

গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে জনি ও সুমাইয়া ফোনে বারপুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে সাতমাথায় আসতে বলে। শাহজাহান এলে তাকে নিয়ে মুন্না চাপ ঘরের দিকে যাওয়ার কথা বলে তারা সিএনজিতে উঠে। পরে সেখানে না নেমে জোর করে তারা শাহজাহানকে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে শাহজাহানকে মারপিট এবং ঠাণ্ডা পানি ঢেলে নির্যাতন করে।

সেখানে নির্যাতনের পাশাপাশি শাহজাহানকে উলঙ্গ করে ছবি তোলে সাদিয়া। পরে সেই ছবি ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা একটি ব্যাংক একাউন্টে পাঠানোর জন্য শাহজাহানের পরিবারে চাপ দেয়। শাহজাহানের বাবা বিষয়টি জানামাত্র দ্রুত সদর থানায় যোগাযোগ করে।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ামাত্র অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। মোবাইল নম্বর এবং ব্যাংকের হিসাব নম্বর ট্র্যাকিং করে বনানীর ভাড়া বাসা থেকে বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *