ফের বাংলাদেশে ঢুকে মাছ শিকার – ১২ ভারতীয় জেলে আটক !!
বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করায় আবারও ১২ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বঙ্গোপসাগরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে তাদেরকে জাল ও ট্রলারসহ আটক করা হয়। শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদেরকে হেফাজতে নেয় মোংলা থানায় পুলিশ।
এর আগে ১৮ জানুয়ারি মোংলা বন্দরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে ২৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছিল নৌবাহিনী। এ নিয়ে বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় সাত দফায় ১৫৩ জন ভারতীয় জেলে আটক হলো।এরই মধ্যে পাঁচটি ফিশিং ট্রলারসহ আটক ৬৩ ভারতীয় জেলেকে গত ৩০ জানুয়ারি পুশব্যাক করা হয়। এখনও বাগেরহাট কারাগারে রয়েছেন ৮২ ভারতীয় জেলে।
কোস্টগার্ড জানায়, নিয়মিত টহলরত অবস্থায় বেশ কয়েকটি ফিশিং ট্রলার নিয়ে ভারতীয় জেলেদের বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে দেখতে পায় কোস্টগার্ড। এ সময় ভারতীয় জেলেদের ধাওয়া করলে অন্য জেলেরা পালিয়ে গেলেও একটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে আটক করা হয়।এ নিয়ে সাত দফায় ১০টি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫৩ ভারতীয় জেলে আটক হয়। শুক্রবার রাতে আটককৃত ভারতীয় জেলেদের শনিবার দুপুরে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড। পরে এসব জেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মোংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে ফিশিং ট্রলারসহ ১২ ভারতীয় জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড। আগামীকাল রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হবে। এ নিয়ে সাত দফায় বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে ১৫৩ ভারতীয় জেলে আটক হলো।
ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের সময় গত ২ অক্টোবর প্রথম দফায় একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫ ভারতীয় জেলে আটক হয়। এরপর ৪ অক্টোবর দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৩ জন, ২২ অক্টোবর একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৪ জন, ৪ নভেম্বর চারটি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৯ জন, ১০ ডিসেম্বর একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৪ জন, ১৮ জানুয়ারি দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৬ জন এবং সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারি ১২ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হলো।