ফেসবুকে এবার স্ট্যাটাস দিয়ে যা বললেন আজহারী !!

বর্তমানে দেশের তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এক ইসলামী বক্তার নাম ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সুমধুর কণ্ঠ। সুস্পষ্ট ইংরেজি আর সমসাময়িক সময় নিয়ে সুন্দর অনুধাবন দিয়ে দেশের মানুষের কাছে বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। আজহারীর স্ট্যাটাসটি বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘যাদুঘর, চিড়িয়াখানা এবং শিশুপার্কে যেভাবে শিশুদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান, ঠিক তেমনিভাবে শিশুদেরকে নিয়ে একুশের বইমেলাতেও ঘুরে আসুন। মনের আনন্দে ওরা বিভিন্ন স্টলে ঘুরে বেড়াবে আর চোখ বুলাবে মজার মজার ও রংবেরঙের সব বইয়ের পাতায়। কিনবে নানাধরনের শিশুতোষ বই। বই মেলায় বেড়ানোর এ মূহুর্তগুলো সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে ওদের জীবনে। গল্প, কবিতা এবং সাইন্স ফিকশনের পাশাপাশি ওদের কিনে দিন গল্পে গল্পে নবী জীবনী, হারানো মুসলিম ঐতিহ্যের ইতিকথা, শিশুদের ইমান সিরিজ ও আমি হতে চাই সিরিজের মত বইগুলো। ওরা আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে এগুলো পড়ে।

পৃথিবীর অনেক দেশে দেখেছি, অবসরে লোকজন নতুন নতুন বই পড়ে। সাগরতীরে সানবার্ণের সময়, বাসস্টপেজে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় কিংবা মেট্রোরেলে বসে অথবা দাড়িয়ে লোকজন বই পড়ছে। সেল্ফ ডেভেলপমেন্টের জন্য এই বই পড়ার অভ্যেসটা খুব জরুরী। ছোটবেলা থেকেই বই প্রেমী ও জ্ঞান পিপাসু করে গড়ে তুলতে, এখন থেকেই সোনামনিদের হৃদয়ে জ্ঞানার্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। জানার এবং শেখার নেশা যেন ওদের তাড়া করে ফেরে সব সময়। ওরা যা শিখবে, ভালোবেসে শিখবে। ওরা যা জানবে, গভীরভাবে জানবে। ওরা যা শুনবে, আগ্রহ ভরে শুনবে। মনের আনন্দে যেন ওরা সব শিখতে পারে। আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে ওরা যা শিখবে সেটাই আসল শিক্ষা। মনে রাখবেন, জোর করে বিদ্যা চাপিয়ে দেয়ার নাম শিক্ষা নয়, শিক্ষা হল আপনার সন্তানের স্বতঃস্ফূর্ত আত্মবিকাশ। বইমেলা শেষ হতে আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকী। বড়দের পাশাপাশি কচিকাঁচাদের কলরবেও মুখরিত হোক একুশে বইমেলা চত্বর।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *