বাংলাদেশ ও মিয়ানমার নিজেদের সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি !!

সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। মিয়ানমার থেকে আসা ম’র’ণ’নে’শা ই’য়া’বা’র চা’লান প্র’তি’রোধে আরও কঠোর অবস্থানে থাকবে দু’দেশ।

এছাড়া সীমান্তে যে কোনো ধরনের চো’রা’চা’লান, মানব পা’চা’র, অনুপ্রবেশ এবং স’ন্ত্রা’সী ক’র্ম’কাণ্ড বন্ধ করতে দু’দেশ যৌথভাবে কাজ করবে। কোনো দেশেরই মাটি ব্যবহার- অবস্থান করে স’ন্ত্রা’সী ক’র্ম’কা’ণ্ড করতে দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে উভয় দেশ ‘জিরো টলারেন্স’ অনুসরণ করবে। বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) সিনিয়র পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে একথা বলা হয়।

সম্মেলনে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এবং মিয়ানমারের সফররত আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সম্মেলনে নয়টি বিষয়ে একমত হয়েছে দু’পক্ষ।

বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, মাদক চো’রা’চা’লান রোধে জিরো টলারেন্স; আন্তঃদেশীয় অপরাধ, অ’স্ত্র চো’রা’চা’লান, মা’ন’ব’পা’চা’র, পণ্য চো’রা”চালান ও স’ন্ত্রা’সবাদের বিরুদ্ধে এক দেশ অপর দেশকে সহযোগিতা, সীমান্তের উভয় পাশে ১৫০ ফুটের মধ্যে যে কোনো ধরনের সীমানা ল’ঙ্ঘ’ন না করা ও গু’লি চা’লা’নোর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে একে অপরকে জানানো।

এছাড়াও, সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। বিজিবি ও এমপিএফের মধ্যে সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ইয়াবা চো’রা’চা’লান আগের চেয়ে কমেছে। ই’য়া’বা’সহ যে কোনো চোরাচালান ও অ’প’রা’ধ’মূলক কাজ বন্ধে উভয় দেশই ‘জিরো টলারেন্স’ অনুসরণ করবে। ইয়াবা প্র’তি’রো’ধে এমপিএফের সঙ্গে কথা হয়েছে।

তারাও ই’য়া’বা’সহ চো’রা’কা’রবারি গ্রে’ফ’তা’র করছে। এ ম’র’ণ’নে’শা যাতে পুরোপুরি রোধ করা যায়- সেই বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, ই’য়া’বা’সহ চো’রা’চা’লান রো’ধে আরও কঠোর হবে। চো’রা’চা’লান তারাও পুরোপুরি নিয়’ন্ত্র’ণে আনতে চায়।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রস্তাব অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ও এগোচ্ছে। তিনি বলেন, সীমান্তে স্থল মাইন অ’প’সা’রণের কাজে সহযোগিতার জন্য মিয়ানমারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *