বাজারে আসলো কাচকি মাছের সুস্বাদু চানাচুর!

গ্লাসি পুষ্টিকর দেশীয় প্রজাতির কাঁটাযুক্ত, খুব ছোট এবং প্রায় স্বচ্ছ কাচঁকি মাছ। এটি নদী ও খালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কাঁটা হয়ে থাকা অনেকেরই ভালো লাগে না। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা একেবারেই নয়।

তবে চানাচুর অনেকেরই প্রিয় খাবার। অতএব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকদের একটি দল কাচঁকি মাছের চানাচুর উদ্ভাবন করেছে যাতে সবাই সহজেই কাচঁকি মাছের পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। শুধু চানাচুরই নয়, কুঁচকানো বাদাম এবং তিলের বারও উদ্ভাবিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অর্থায়নে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন মৎস্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড। মুহাম্মদ নুরুল হায়দার এবং একই বিভাগের প্রভাষক মোবারক হোসেন। ডা নুরুল হায়দার বলেন, কাচঁকি মাছ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ।

হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই মাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চানাচুর, তিল বার এবং বাদাম সব বয়সের মানুষের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। ক্যাটাগরি -১ এর পণ্য হল চানাচুর জাতীয় এবং ক্যাটাগরি -২ এর পণ্য প্রধানত গুঁড়ো বাদাম এবং তিলের বার (স্থানীয়ভাবে তিল বাদাম)। মোবারক হোসেন বলেন, আমি গবেষণাটি করেছি মূলত খাবারের পুষ্টিমান বাড়ানোর জন্য। গ্লাসি মাছ গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *