বাড়ি নির্মাণে ৯০০ টাকা কিস্তিতে ২০ বছর মেয়াদে ঋণ নিবেন যেভাবে !!

আবাসন খাতে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা ও বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)। সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সরল সুদে এই ঋণ নিয়ে পরিশোধ করা যাবে সর্বোচ্চ ২০ বছরে। প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদের জন্য এই ঋণ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।এখানে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সরল সুদে মানে ঋণ গ্রহিতাকে প্রতি লাখে মাসিক কিস্তি দিতে হবে সর্বনিম্ন মাত্র ৯০০ টাকা। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটে (http://www.bhbfc.gov.bd/) এমন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে।

কর্পোরশনের উপ মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জানান, পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। নগর এলাকায় যারা জমি বা প্লট কিনতে চান তাদের জন্য ‘নগর বন্ধু’, জেলা পর্যায়ে যারা ঋণ নিতে চান তাদের জন্য ‘পল্লীমা’, দেশের বাইরে থাকা যেসব প্রবাসীরা ঋণ নিতে চান তাদের জন্য ‘প্রবাস বন্ধু’, যারা নিজেদের স্থাপনা আরো ভালো করতে চান তাদের জন্য ‘আবাসন উন্নয়ন’ আর সবশেষে যারা নিজেদের স্থাপনা মেরামত করতে চান তাদের জন্য ‘আবাসন মেরামত’ নামের পাঁচটি প্যাকেজ রয়েছে।

এসব প্যাকেজের প্রতিটির ৫ বছর মেয়াদী ঋণের জন্য প্রতি এক লাখ টাকায় মাসে দুই হাজার ৭৬ টাকা, ১০ বছরে মাসিক ১ হাজার ২৬৮ টাকা, ১৫ বছরের জন্য মাসিক ১ হাজার ১৪ টাকা আর ২০ বছরের জন্য প্রতি মাসে কিস্তি আসবে সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা।খায়রুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান যেটি আর্থিক খাতে ঋণ দেয়। আমরা এক সংখ্যার অংকে সরল সুদে ঋণ দিয়ে থাকি। মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ আর জমির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত আমরা ঋণ দিয়ে থাকি।

বাংলাদেশি নাগরিকরা এটি সর্বোচ্চ ২০ বছরে এবং যারা প্রবাসে আছেন তারা সর্বোচ্চ ২৫ বছরে মাসিক কিস্তিতে এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক শর্ত সাপেক্ষে এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।ব্যাংকের তুলনায় কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেওয়া সুবিধা ও লাভজনক উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু এটা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান তাই এটির সুধ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়।

গ্রাহক প্রতি মাসে যে কিস্তি পরিশোধ করবেন সেটি থেকে আমরা আসলের অংকও নিয়ে থাকি।এছাড়াও ব্যাংক সাধারণত দুই অঙ্কের সংখ্যার সুদে ঋণ দেয়। তাই ব্যাংকের তুলনায় আমাদের থেকে ঋণ নেওয়া লাভজনক। অন্যদিকে ব্যাংকে সাধারণত তিন মাস কিস্তি বকেয়া পড়লেই কর্তৃপক্ষ মামলা-মোকদ্দমা বা অন্যান্য আইনানুগ পদক্ষেপে চলে যায়। কিন্তু আমাদের এখানে সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তি পর্যন্ত বকেয়ার সুবিধা দেওয়া হয় গ্রাহকদের। তাই তুলনামূলকভাবে বিচার করলে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেওয়া সুবিধার ও লাভজনক।

খায়রুল ইসলাম আরও বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ঋণ দেয় কিন্তু প্রপার্টি কিনতে হবে তাদের পছন্দনীয় জায়গা থেকে। আমাদের এখানে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই, আমরা শুধু অর্থ ঋণ দিয়ে থাকি। গ্রাহকের যেখানে সুবিধা মনে হবে তিনি এই অর্থ দিয়ে সেখানেই প্রপার্টি কিনতে পারবেন।প্রবাসীরা বাড়ি নির্মাণে ঋণ সুবিধা পাওয়ার জন্য

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *