বিদেশ থেকে শুল্ক ছাড়া যতটুকু স্বর্ণ দেশে আনতে পারবেন
না জেনে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকার আনলে পড়তে পারেন বিরাট ঝামেলায়। কারণ কতটুকু স্বর্ণ বহন করা আপনার জন্য বৈধ আর কতটুকু অবৈধ এটা না জানা থাকলে শুধু বিপদ নয় কারাভোগের মতো বড় বিপদেও পড়তে পারেন আপনি।
প্রবাসে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে পণ্য বা লাগেজ পরিবহনে বিমানবন্দরের কিছু নিয়ম কানুন আছে। নির্দিষ্ট বয়সের মানুষের ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যে কোনো শু’ল্ক বা কর না থাকলেও বাড়তি পণ্য বা অ’লংকারের জন্য নির্দিষ্ট মূল্যে শুল্ক এবং কর পরিশোধ করতে হয়।
বিশেষ করে স্বর্ণ আনার ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ডের কিছু নিয়ম কানুন আছে। এইসব বিষয় না জানার কারনে বিমানবন্দরে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন অনেকেই। একজন যাত্রীর জন্য যতটুকু স্বর্ণ বহন করা বৈধ তার চেয়ে অধিক বহন করলে প্রাথমিকভাবে জরিমানা এবং স্বর্ণ চোরাচালানের অভি’যোগেও কা’রাদণ্ড হতে পারে।
স্বর্ণালংকার: ১০০ গ্রাম পর্যন্ত অলংকার শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এক প্রকারের অলংকার ১২ টির অধিক হবে না। এর চেয়ে বেশি আনলে অতিরিক্ত প্রতি গ্রাম এর জন্য প্রায় ১,৫০০ টাকা করে শুল্ক পরিশো’ধ করতে হবে। তাছাড়া কাস্টমের যদি তা বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হয় তাহলে তা আটক করবে।
আটক রশিদ (detention memo) বুঝে নিবেন। আ’টককৃত স্বর্ণালংকার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদ’ন্ড পরি’শোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। আর চো’রাচা’লান বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে।
সোনার বার: ১ গ্রাম আনলেও শুল্ক-করাদি (প্রতি ১১.৬৭ গ্রাম এর জন্য ২০০০ টাকা) পরিশো’ধ করতে হবে। এভাবে ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আট’ক করবে। আটক রশিদ (Detention Memo) বুঝে নিবেন। আট’ককৃত স্বর্ণ বার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-ক’রাদি এবং অর্থদ’ন্ড পরি’শোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। আর চো’রাচালা’ন বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মাম’লা করবে।