দেশের খবর

বিশ্বরেকর্ড গড়ল পেঁয়াজ, প্রতি কেজি ৩০০ টাকা !!

এখন দেশের সব গণমাধ্যমের শিরোনামে এখন পেঁয়াজ। টিভি চ্যানেলের টকশোজুড়েও পেঁয়াজের দৌরাত্ম্য। পেঁয়াজ ঝাঁজ এখন রাজনীতির মাঠেও বিচরণ করছে। পেঁয়াজ কিনতে নাভিশ্বাস যেন দেশবাসীর। অনেকে রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবারে ডাবল সেঞ্চুরি করেছে পেঁয়াজ। পাইকারী বিক্রেতারাই এ মসলাটি ২০০ টাকার এক পয়সা কমে বিক্রি করছেন না। যা এহাত ওহাত পেরিয়ে খুচরা বাজারে ২২০ ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। কিন্তু আজ শুক্রবার তা ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকা।

এদিকে শুক্রবার ছুটির দিনে অধিকাংশ চাকরিজীবী বাজার করে। রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ৩০০ টাকা, ভারতীয় ২৫০, মিশরের পেঁয়াজ ২৪০ টাকা হিসাবে বিক্রী হচ্ছে। এটা পেয়াঁজের দামের একটি বিশ্ব রেকর্ড।

এদিকে ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার সংবাদে ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ১০০ টাকায় পৌঁছায় যায় দেশি পেঁয়াজের কেজি। খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হতে থাকে। এরপর বেশি কিছুদনি পেঁয়াজের দাম অনেকটাই স্থির ছিল। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছিল।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং আমদানি করা পেঁয়াজ আসছে না- এমন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন, ফলে আবারও ১০০ টাকায় পৌঁছে যায় পেঁয়াজের কেজি।

এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক বক্তৃতায় বলেন, পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার নিচে নামা সম্ভব নয়। মন্ত্রীর এই বক্তব্য পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টিকে আরও উসকে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০০ টাকা থেকে পেঁয়াজের কেজি ১৩০ টাকায় পৌঁছে যায়। এ পরিস্থিতিতে শিল্পমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক আছে পরের দিন ওই পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকায় পৌঁছে যায়।

তবে এখানেই থেমে থাকেনি পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রবণতা। বুধবার ১৫০ টাকা থেকে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ১৭০ টাকা হয়। বৃহস্পতিবার সেই দাম আরও বেড়ে ২০০ টাকায় পৌঁছে যায়। আর সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার তা আরও বেড়ে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। এর আগে কখনো দেশের বাজারে এত দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের ঝাঁজ বেশি হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে এটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। মানুষের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া হলে সেটি খারাপ হবে। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

দেশে পেঁয়াজের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এক লাফে এত টাকা বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। বাজারে কথা প্রচলিত রয়েছে, একই ব্যক্তি আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করছেন। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মুদ্রাপাচার হচ্ছে। সরকারের আর্থিক ও বাণিজ্যিক গোয়েন্দাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।’

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button