বিয়ে করতেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম – যা বললেন রোহিঙ্গা নারী !!

বাংলাদেশে বিয়ে করতে দেড়-দু’লাখ টাকার দরকার। কিন্তু এত টাকা পাবো কোথায়। মা নেই, বাবা নেই। মালয়েশিয়াতে পরিচিত অনেকে আছে। ভেবেছিলাম, ওখানে গিয়ে তাদের কাউকে বিয়ে করে ফেলবো। কাজ নয়, বিয়ে করতেই মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম।’ ট্রলারডুবি থেকে বেঁচে ফেরা রোহিঙ্গা নারী ইছমত আরা এমনটাই বললেন।
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ট্রলারে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন ইছমত আরা। কিন্তু সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের কাছে পৌঁছালে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ১৫ জনের প্রাণহানি হলেও তিনি বেঁচে যান। সৌকতসহ ৬৫ জনকে উদ্ধার করে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সেন্টমার্টিন জেটিতে নিয়ে আসেন। সেখানেই তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।

ধারণা করা হচ্ছে, ট্রলারে প্রায় ৮৫ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এরমধ্যে নারী সংখ্যা অর্ধেক। নারীদের অনেকেই বিয়ের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় একদল রোহিঙ্গা যুবকের বিয়ের প্রলোভনে পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছিলেন তারা। ইছমত আরা আরো বলেন, আমার অনেক আত্মীয় এর আগে মালয়েশিয়া গিয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ নেই।

সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার নাইম উল হক ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, সোমবার রাতে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা। সকালে ছেঁড়াদ্বীপের কাছে হঠাৎ তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে ভাসতে ভাসতে তারা যখন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এসে পরে তখন সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় হঠাৎ ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে অনেকেই ডুবে যান। কেউ কেউ সাঁতরে পার হন। এখন পর্যন্ত ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *