‘বুলবুল’ ঝুকিমুক্ত কক্সবাজার উপকূল, বেচে গেল হাজার হাজার মানুষ !!

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বুলবুল আতঙ্কে ঘর থেকে খুব একটা সাধারণ মানুষ বের হয়নি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার মধ্যরাতে আঘাত হানার কথা থাকলেও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় রাত ১২টা পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিল।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ কর্মকর্তা মুকুল জানান, উপকূলীয় এলাকা থেকে জোয়ারের পানিতে গ্রাম ডুবে যাওয়ার খবর সরকারি দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা কিংবা জনপ্রতিনিধিরা জানাননি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানার পর জোয়ারের স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবাহাওয়া অফিসের নির্দেশনা রয়েছে।

এদিকে, দুর্গত এলাকাগুলোতে গর্ভকালীন ও জরুরি প্রসূতিসেবার প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে আয়শা আক্তার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে জরুরি প্রস্তুতি কর্মসূচিসহ সার্বিক বিষয় সমন্বয় করছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্গত এলাকার কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, অতীতে নভেম্বর মাসেই দুটি প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনে বিপর্যস্ত করে যায় বাংলাদেশকে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াল ‘ভোলা ঝড়’ এবং ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর এমনই শক্তিশালী দুটি ঘূর্ণিঝড় ছিল। ভোলা ঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং সিডরে প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *