‘ভারতের নাগরিকত্ব আইন প্রয়োজনীয় ছিলো না’ – যা বললেন শেখ হাসিনা !!

বেশ কিছুদিন হয়ে গেল পাশ হয়েছে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য এই বিশেষ বিল আনা হয়। আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে এখনও। প্রতিবেশী বাংলাদেশের তরফে আগেও অনেক মন্তব্য এসেছে।

তবে এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এর কোনও প্রয়োজন ছিল না। সম্প্রতি আরব আমিরশাহী সফর সেরে গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। ভারতের এই আইন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না, কেন এটা করা হল। এর কোনও প্রয়োজন ছিল না।”

বাংলাদেশে ১ কোটি ৬০ লক্ষ হিন্দু (মোট জনসংখ্যার ১০.৭ শতাংশ) থাকার তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে যাওয়ার বিষয়টি নাকচ করেছেন। নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর ভারত থেকেও বাংলাদেশে কেউ আসছে না বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, “তবে ভারতের মধ্যেই মানুষকে অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।” বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এটাই বলে আসছে যে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কিংবা নাগরিকপঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গত বছরের অক্টোবরে আমার নয়াদিল্লি সফরের সময়ও নরেন্দ্র মোদী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ মাত্রায় আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটা নানা ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত হচ্ছে। এর আগে শেখ হাসিনার অ্যডভাইজর গওহর রিজভি বলেছেন, অবৈধভাবে বসবাস করছে প্রমাণ করতে পারলে বাংলাদেশিদের ফেরত নেওয়া হবে। রিজভী বলেন, ‘নাগরিকত্ব বিল ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তাঁর কথায়, ‘ভারতে কেউ অবৈধভাবে বসবাস করলে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, তবে তার জন্য ভারতকে প্রমাণ দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে মুসলিম-হিন্দু, ক্রিশ্চান, বৌদ্ধ সবাই একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪।

এর আগে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চান নয়াদিল্লির কাছে। বলেন, যদি কোনও বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করে, তাহলে তাদের তালিকা দিন। সেইসঙ্গে তিনি এও জানান যে, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনও অবনতি হয়নি।

সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *