মাখনে ডোবানো হচ্ছে ফাঁ’সির দড়ি, আধ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হবে নির্ভয়ার দোষীদের !!

২২শে জানুয়ারি। চার জনকে একসঙ্গে ফাঁ’সির দড়িতে ঝোলানো হবে। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর সাত বছর লড়াই। শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার হল তাঁর মেয়ের সঙ্গে। নির্ভয়ার মা দেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জাহির করেছেন আগেই। বলেছেন, এতদিনে তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২২ জানুয়ারি নির্ভয়ার চার দোষী অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ সিংহ, বিনয় কুমার এবং পবন গুপ্তর ফাঁ’সি হবে তিহাড় জেলে। আর নির্ভয়ার চার দোষীকে ফাঁ’সির দড়িতে ঝোলানোর জন্য মহড়া সেরে রেখেছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ।

২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় ফাঁ’সির দড়িতে ঝোলানো হবে চার দোষীদের। প্রত্যেকের জন্য দুটি করে ফাঁ’সির দড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে দোষীদের দ্বিগুণ ওজনের ডামি দিয়ে ফাঁ’সির মহড়া সেরে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফাঁ’সির দড়ি মোলায়েম করে রাখতে সেগুলি মাখনে ডোবানো হয়েছে। তার পর সেই দড়ি স্টিলের বাক্সে ভরে রাখা হয়েছে। ফাঁ’সির জন্য ব্যবহার করা হয় নতুন দড়ি। এটাই নিয়ম। ‘ফাঁ’সির সময় একজন ডাক্তার, মনোবিদ ও জেলের কয়েকজন আধিকারিক সেখানে থাকবেন। আধ ঘণ্টা ফাঁ’সির দড়িচে ঝুলিয়ে রাখা হবে চার দোষীকে। এর পর চিকিত্সক তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করলে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পরিবারের লোকজন তাঁদের মৃতদেহ সত্কারের আবেদন করতে পারবে। না হলে চার দোষীকে সত্কারের ব্যবস্থা করা হবে জেলের পক্ষ থেকে। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ।

তিহাড় জেলের তিন নম্বরে ফাঁ’সি হবে চারজনের। ইতিমধ্যে ওই চারজনকে জেলের আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। নজর রাখা হচ্ছে সিসিটিভির মাধ্যমে। চারজনের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন দু দফায় মেডিক্যাল চেক-আপ চলছে তাঁদের। ডেথ ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার পর অনেক সময় ফাঁ’সির আসামী খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এমন সময় কাউন্সেলিং করে আসামীকে মানসিক দিক থেকে ফিট করে তোলার প্রক্রিয়া চলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *