মানুষের উপর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত চীনের পঞ্চম টিকা !!
চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে মা’র’ণ ভা’ই’রাস করোনা। গুঁ’ড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। কোন ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। শুধুই মৃ’ত্যুর অপেক্ষা।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে। এখনও সফলতার মুখ দেখেননি। তবে চীন কিন্তু বুক চিতিয়ে ভ্যাকসিন তৈরির দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
নভেল করো’না’ভা’ইরাস প্র’তি’রোধে চীনের পাঁচটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের মানব শরীরে দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। আরো কয়েকটি ভ্যাকসিন আগামী মাসে মানব শরীরে ট্রায়ালের অনুমতি পাবে।বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতায় এ খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তির। মানবজাতির এই ক্রা’ন্তি’লগ্নে ভ্যাকসিন কারা তৈরি করলো সেটা বিবেচ্য নয়, বাঁচতে হলে ভ্যাকসিন দরকার এটাই বাস্তবতা।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপমন্ত্রী জেং ইয়িক্সিন শুক্রবার বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে ২৫৭৫ জন মানুষের ওপর এ পাঁচটি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পরীক্ষা আগামী জুলাই মাসে শেষ হবে বলে আশা করছি। সাধারণ ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হওয়ার আগে সম্ভাব্য এ ভ্যাকসিনগুলোকে আরো একটি ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি জানিয়ে ইয়িক্সিন বলেন, আরো কয়েকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনকে জুন মাসের মানব শরীরে পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হবে।ভ্যাকসিন প্রার্থীরা পাইপলাইনে রয়েছে এবং মানবিক পরীক্ষার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে চীনে মহা’মা’রি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অগ্রসরে গবেষকরা একটি বাঁধার মুখে পড়তে পারেন।
আগের দুই ধাপে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনগুলো শত শত সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করিয়ে সেগুলো নিরাপদ কিনা এবং তাদের প্রতি’রো’ধ ক্ষমতা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।কিন্তু তৃতীয় ধাপে গিয়ে দুই দল মানুষের প্রয়োজন হয়- একদলকে ভ্যাকসিন দেয়া হয় এবং অন্যদলকে দেয়া হয় না। এবার তাদের মধ্যে দেখা হয়- না দেয়াদের তুলনায় ভ্যাকসিন দেয়া মানুষরা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারছেন কিনা।
চীনে সং’ক্র’মণ কমে যাওয়ায় তিয়ানজিন-ভিত্তিক ক্যানসিনো বায়োলজিকস ইনকর্পোরেশন এবং বেইজিং-ভিত্তিক সিনোভাক বায়োটেক লিমিটেডের মতো কয়েকটি চীনা ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অন্যান্য দেশে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল পরিচালনার বিকল্প অনুসন্ধান করছে।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।