মা নোংরা পথে চলে গিয়েছিল, তাই খুন করে মাটি চাপা দিয়েছি

পশ্চিম ভারতের বর্ধমানের একটি বাড়ির মেঝেতে তার জন্মদাতা মাকে হত্যা করে এবং তার লাশ কবর দেওয়ার অভিযোগে ছেলেটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছেলেটি দুই বছর ধরে মায়ের লাশ মেঝেতে চাপা দিয়ে বাস করছিল। তিনি নিয়মিত মাটিতে ধূপ জ্বালাতেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সবাই উত্তেজিত হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম শেখ নয়ন।

অভিযুক্ত নয়নকে সাংবাদিকরা তার মা হত্যার কারণ জানতে চেয়েছিল। জবাবে নয়ন বলল, মা একটা নোংরা পথে চলে গেছে। নিষেধ করলেও তিনি শুনতেন না। তাই আমি তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেললাম। ”

বুধবার দেশটির পুলিশ নয়নের সঙ্গে মাটি খুঁড়ে হাড় উদ্ধার করে। পুলিশের এক ঘণ্টার চেষ্টার পর মৃতের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সুকরানার বড় ছেলে কিসমত নয়ন উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন।

জানা গেছে, মা সুকরানা বিবি তার ছোট ছেলে নয়নের সঙ্গে থাকতেন। সুকরানা ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ। তার বড় ছেলে কিসমত অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার মায়ের হদিস পায়নি।

চোখের অশান্তির কারণে তার স্ত্রী চার মাস ধরে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। সোমবার নয়নের দাদা শেখ কিসমত এবং কিসমতের স্ত্রী মিলি বিবি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে সেখানে যান। কিন্তু নয়নের স্ত্রী ফিরতে রাজি হননি। তিনি কিসমতকে সুক্রানা হত্যা এবং মাটিতে কবর দেওয়ার কথাও বলেছিলেন।

এরপর দাদা কিসমত মঙ্গলবার সকালে এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ জামালকে পুরো বিষয়টি জানান। অভিযুক্ত নয়নকে তখন তৃণমূল পার্টির কার্যালয়ে আটক করে বর্ধমান থানায় রিপোর্ট করা হয়। আর পুলিশ নয়নকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

বুধবার অভিযুক্তকে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে। তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন। বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী বলেন, “উদ্ধার হওয়া খুলি এবং হাড়গুলি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *