মিয়ানমারে থামছে না র’ক্তস্রোত, ১ দিনে নি’হত ১২ জন !!

মিয়ানমারের রাস্তায় র’ক্তবন্যা থামছেই না। দেশটির মায়াং শহরের এক মিছিলেই গুলি চালিয়ে আটজনকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) একদিনে মোট ১২ জন মারা গেছেন পুলিশের হাতে। জাতিসংঘের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনএন জানিয়েছে।

মিয়ানমারের এসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানিয়েছে, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বি’ক্ষোভে নামলেই নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ।পুলিশি নির্যাতনের কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। একটি ছবিতে দেখা যায়, একজন বি’ক্ষোভকারী রাস্তায় পড়ে আছেন, তার মাথা ফেটে মস্তিষ্ক রাস্তায় গড়াচ্ছে।

দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে নিহত বি’ক্ষোভকারী চিট মিন থু এর স্ত্রী আই মাট থু বলেছেন, ঘরে থাকার চেয়ে বি’ক্ষোভে যোগ দেওয়াতেই জোর দিয়েছিলেন চিট মিন। সে বলেছিল, এই দাবির জন্য মরা যায়। যারা বি’ক্ষোভে যোগ দিচ্ছিল না তাদের নিয়ে চিন্তিত ছিল সে। কারণ বি’ক্ষোভ সফল না হলে গণতন্ত্র আর কোনোদিনই মিয়ানমারে ফিরবে না।

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বি’ক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত চারজন নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে মারা গেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে চলছে সামরিক জান্তাবিরোধী বি’ক্ষোভ।এদিকে গতকাল নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ১২ জন নিহত হওয়ার কথা জানানোয় আজ শুক্রবার আরও জোরদার বি’ক্ষোভ ও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন গণতন্ত্রকামীরা।

মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে আন্দোলনকারী চিত মিন থু’র নিহত হওয়ায় তার স্ত্রী আয়ে মিয়াত থু রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমার স্বামী মনে করতেন গণতন্ত্রের জন্যে মৃত্যু মহান। যারা এখনো বি’ক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন না তাদের নিয়ে তিনি শঙ্কিত ছিলেন। তারা আন্দোলনে যোগ না দিলে দেশে গণতন্ত্র আসবে না।’

গণতন্ত্রপন্থিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে আজকের বি’ক্ষোভ, ধর্মঘট ও সেনাবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারফিউ উপেক্ষা করে নিহতদের স্মরণে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে প্রতি রাতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হচ্ছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *