মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ, রোহিঙ্গা নিধনে ব্যবহারের আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের !!
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798

মিয়ানমারে মজুদ থাকা রাসায়নিক অস্ত্র রোহিঙ্গা নিধনে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডব্লিউর বার্ষিক সম্মেলনে মার্কিন কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমারের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ওপিসিডব্লিউর ২৪তম বার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই অস্ত্র তারা ব্যবহারও করেছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনে লন্ডনভিত্তিক ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড।
এর পর ২০১৩ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলে তামার খনিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর ফসফরাস গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে পাঁচজন সাংবাদিককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমার। ২০১৮ সালেও কোচিন বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে মিয়ারমার।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার দ্য হেগে অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডব্লিউর ২৪তম বার্ষিক সম্মেলনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহকারী সেক্রেটারি টমাস ডিন্যান্নো বলেন, মিয়ানমারের কাছে আশির দশকের রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ থাকতে পারে।
টমাস ডিন্যান্নো বলেন, ‘ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য রয়েছে, ১৯৮০ সালে মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। সেখানে সালফার মাস্টার্ড গ্যাসও ছিল। কিন্তু মিয়ানমার সেই রাসায়নিক অস্ত্র সম্পর্কে জানাতে এবং তা নষ্ট করতে রাজি নয়। তাই আমরা মনে করি, ওপিসিডব্লিউর সদস্য হলেও মিয়ানমারের কার্যক্রম অস্বচ্ছ। যদিও ওয়াশিংটন এ ব্যাপারটি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এবং আমরা তাদের অস্ত্র ধ্বংস করতে সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’
অন্যদিকে, মিয়ানমারের রাখাইনে অব্স্থান করা কিংবা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দলের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত রাখাইনে ছয় লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। অত্যন্ত শোচনীয় পরিস্থিতিতে তাদের বসবাস করতে হচ্ছে।