মুসলমানদের ওপর অত্যাচারে নিরব কেন মুসলিম বিশ্ব: ওজিল !!

মুসলিম খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম হলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী তারকা মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। এবার তিনি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার না হওয়ার মুসলিম বিশ্বের সমালোচনা করেছে।

ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের এই মিডফিল্ডার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি বড় পোস্ট দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা টুইটে, ‘পূর্ব তুর্কিস্তান : মুসলিম উম্মাহর রক্তক্ষরণ’ শিরোনাম দিয়ে উইঘুর ইস্যুতে নিজের মতামত ও মুসলিম বিশ্বকে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে তিনি উইঘুরদের ‘অত্যাচার প্রতিহতকারী যোদ্ধা’ হিসেবে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি বলেছেন, ‘(এই) গৌরবময় বিশ্বাসীরা একসাথে লড়াই করে তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষকে জোরপূর্বক ইসলাম থেকে সরিয়ে দিতে চায়।’

ওজিল ওই স্ট্যাটাসে আরো লিখেছেন, ‘কোরআন পোড়ানো হচ্ছে….. মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে… ইসলামিক স্কুল, মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে….ধর্মীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে…. এত কিছুর পরও মুসলিমরা নিরব হয়ে আছে’।

তিনি খেছেন, ‘তারা কি জানে না যে, নির্যাতনে সম্মতি দেয়াও এক ধরনের নির্যাতন? হযরত আলী (রা) বলেছেন, তুমি যদি নির্যাতন বন্ধ করতে না পারো (অন্তত) প্রতিবাদ করো’।

উল্লেখ্য, চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশটি মুসলিম অধ্যুষিত। এখানকার উইঘুর মুসলিমরা জাতিগত তুর্কি। অনেকদিন ধরেই তাদের ওপর চরম বিধিনিষেধ আরোপ করছে চীন সররকার। মুসলিমদের বিভিন্নভাবে ধর্মচর্চা থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। একটি বন্দী শিবিরে কয়েক লাখ মুসলিমকে আটকে রেখে সেখানে তাদের চীনা সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জার্মানির জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিল তুর্কি বংশোদ্ভূত। তুরস্কে জন্ম নেয়া ওজিল বড় হয়েছেন জার্মানিতে। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন জার্মানির। গত বছর বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতের কারণে তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় জার্মানিতে। বিশ্বকাপের পরও যা অব্যাহত থাকে। এই বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদে জার্মানির হয়ে আর আন্তর্জাতিক ফুটবল না খেলার সিদ্ধান্ত নেন ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই মিডফিল্ডার।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *