মেসির বাড়ি খুঁজে বের করে একি করলেন বাংলাদেশি তরুণ !!

বর্তমান বিশ্বে মেসির জনপ্রিয়তা আকাশাছোঁয়া। রেকর্ড ষষ্ঠবার ব্যালন ডি’অর জয়ের পর লিওনেল মেসি বলেছিলেন, আপনারা এ মুহূর্তগুলো বেশি উপভোগ করছেন কারণ আমার অবসরের সময় ঘনিয়ে এসেছে।’ এ কথাতেই যেন হঠাৎ শূন্যতা অনুভব করতে শুরু করেছে ফুটবল বিশ্ব। এখনই ক্ষুদে জাদুকরকে বিদায় দিতে প্রস্তুত নয় তার ভক্তরা।

আর দশজন ফুটবল প্রেমীদের মত নোয়াখালীর শহিদুল কবির মেসির অবসরের কথা মেনে নিতে পারেনি। তাঁর লক্ষ্য প্রিয় তারকা মেসির দর্শন। আর তাইতো সম্প্রতি স্ত্রীকে নিয়ে ফ্রান্স থেকে স্পেনে উড়ে যান।

বার্সার প্রাণভোমরার বাস ভবনে যেতে হবে তাকে। কিন্তু গুগল ইউটিউবে কোথাও নেই সেই ঠিকানা। বাংলাদেশের এই ফুটবল ভক্ত এতটুকুই জানেন ক্যাসেলডিফলেস এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করেন লিও মেসি। গুগল থেকে নেয়া ছবি নিয়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছেন তিনি।

নিজ ফেসবুকে শহিদুল পোস্ট করেন বলেন, ‘বিচের পাশে বাস থেকে নামার পর পাহাড়ের আঁকা বাঁকা রাস্তা বেয়ে উপরে উঠা শুরু করলাম। তার (মেসি) বাড়ি বের করতে কেমন কষ্ট হয়েছে তা বোঝানো যাবেনা।

হাল যখন ছেড়ে দিচ্ছিলাম তখন বৌ বলে উঠলো “দেখো এই বাসায় স্টেডিয়ামের লাইটের মতো দেখা যায়”। চোখে ভেসে উঠলো মেসির বাড়ির মাঠ। এইতো এটাই মেসির বাড়ি। আমার খুশি দেখে কে।

৪৫ মিনিট খাড়া পথে হাঁটার পর দম আসছিলো আর যাচ্ছিলো। মেসির বাড়ির আসে পাশে যতো সিসিটিভি ক্যামেরা দেখলাম, আমাদের পুরা বাংলাদেশে হয়তো এর চেয়ে কয়েকটা বেশি হবে। গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই গেইট খুলে গেলো।

গার্ড বের হয়ে এসে বললো “হোলা” এরপর স্প্যানিশ ভাষায় যা বললো তাতে বুঝলাম এখানে দাঁড়ানো যাবেনা। আমি জানতে চাইলাম এইটা কি মেসির বাড়ি? সে বললো হ্যাঁ এইটা। বললাম ছবি তুলে চলে যাবো।
সাধারণত ছবি তুলতে দেয়না কিন্তু আমি ইংলিশে কথা বলায় বুঝেছে আমি অন্য কোথাও থেকে এসেছি তাই বললো “ওকে একটা ছবি”।

হাসি মুখে ধন্যবাদ জানালাম আর মনে মনে বললাম,আমার ভাই (মেসি যদি জানে তুই আমারে এমনে ভাগায়ে দিছস তাইলে তোর চাকরি যাবে।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *