মোবাইলে বিয়ে, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ফাতেমা !!

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ফাতেমা বেগম। কিন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে অবশেষে রবিবার শ্বশুড় বাড়িতে গিয়ে অবস্থান ঘর্মঘট করেন। পরে আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীদের বিচারের আশ্বাসে অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।জানা যায়, সাভার আমিনবাজার বড়দেশী এলাকার মো. গজনবীর কন্যা ফাতেমা বেগমের সাথে ভৈরবের আগানগর মধ্যপাড়া গ্রামের তাজু মিয়ার পুত্র কাতার প্রবাসী সফিকুলের সাথে বিগত ৯ মাস যাবৎ মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সম্পর্কের একপর্যায়ে মোবাইলফোনের মাধ্যমে স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে শরীয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। কিন্ত বিয়ের পর স্ত্রীকে কাতারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সফিকুল তার এক ঘনিষ্ঠ লোকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে আবারো ফোন করে ইসলামী ব্যাংকের (যার একাউন্ট নং- ২০৫০২২৮০২০২৬১৬৬০২) এর মাধ্যমে ২ দফায় আরো ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মোবাইলফোনে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। পরে এ বিষয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ফাতেমা বেগম।

এ বিষয়ে ফাতেমা বেগম জানান, বিগত ৯ মাস যাবৎ ফাতেমার সাথে সফিকুলের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা ২ জন স্বেচ্ছায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী তাকে কাতারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সফিকুল তার এক ঘনিষ্ঠ লোকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আরো ৩০ হাজার টাকা নেয় সে। টাকা নেওয়ার পর স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।

এ বিষয়ে সফিকুলের মা জানান, বিয়ের বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না। শফিকুলের চাচাতো ভাই কাসেম মিয়া জানান, গত ২ মাস আগে শফিকুলের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে। তার মোবাইল ফোন অন্য কেউ ব্যবহার করে হয়তো এ কাজ করেছে।এ বিষয়ে আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করতে ইউপি কার্যালয়ে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।তবে ইউপি সচিব মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে ইউপি কার্যালয়ে একটি শালিসী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল কিন্ত চেয়ারম্যান অসুস্থ হওয়ায় শালিসী বৈঠক হয়নি।

সূত্র : কালের কণ্ঠ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *