যুক্তরাজ্যে ৭০৮ জনের মৃত্যু, পিপিই সঙ্কটে রয়েছে চিকিত্সৎকরা !!
যুক্তরাজ্যে একের পর এক মানুষের প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে ভ’য়ঙ্কর করোনাভা’ইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রিটেনে করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে ৭০৮ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে একটি ৫ বছরের শিশুও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভা’ইরাসের আ’ক্রমণে ব্রিটেনেই সবচেয়ে বেশি মৃ’ত্যু হয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনের ৪,৩১৩ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে।
এদিকে, করোনা ভা’ইরাস রোগীদের চিকিত্সায়রত স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই অর্থাত্ পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্টের অভাব বারবার করেই সামনে আসছে বিভিন্ন সময়ে। ব্রিটেনও ব্যতিক্রম নয়। যেভাবে দ্রুতগতিতে সে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যথেষ্ট মুশকিল হচ্ছে। সেটা এতটাই, যে ময়লা ফেলার প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে নিজেদের মুড়ে করোনাযুদ্ধে নামতে হচ্ছে দেশটির চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের! এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের পরিবেশ ও সরঞ্জামের শোচনীয় অবস্থার কথা প্রকাশ পেয়েছে ব্রিটেনে।
বিবিসি জানিয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিত্সক বলেন, প্রতিটা হাসপাতালের আইসিইউ এখন কোভিড ১৯ আ’ক্রান্ত রোগীতে পরিপূর্ণ। তার কথায়, এই অবস্থায় ময়লা ফেলার প্লাস্টিকের ব্যাগ বা বিন ব্যাগ দিয়ে বানানো পিপিই পরতে হচ্ছে আমাদের। অনেক হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্যানসার ক্লিনিকও। শুধু যে হাসপাতালগুলোয় করোনার চিকিত্সার পরিকাঠামো রয়েছে, সেগুলোই খোলা। তার পরেও সেগুলোর বেশিরভাগেই কর্মীর অভাব আছে, বেডের অভাব। একদম সাধারণ মানের ভেন্টিলেটরও সব জায়গায় নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিত্সক বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার তিনজন সহকর্মী ভেন্টিলেশনে আছেন যারা করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তাদেরও অবস্থা একই। ওই চিকিত্সকের কথায়, আমরা অসুস্থ চিকিত্সকদেরও ভেন্টিলেটর দিতে পারছি না, সর্বোচ্চ নার্সিং কেয়ার দিতে পারছি না। নার্সরাও অমানবিকভাবে খেটে চলেছেন, তারাও যে কোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’ অবশ্য দাবি করেছে, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতরা করোনাভা’ইরাসে কর্মক্ষেত্রে সংক্রমিত হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই তাদের কাছে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, সঠিক সুরক্ষার অভাবে অনেক কর্মীই ভুগছেন সংক্রমণে, মারাও যাচ্ছেন কেউ কেউ।