যেভাবে অন্যের সুন্দরী স্ত্রীকে ভাগিয়ে সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে মেয়র !!

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গুলশানারা পারভীন পান্না নামে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে উল্লাপাড়া পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। কিন্তু মেয়রের প্রভাবে মামলা তো দূরের থাক আজ পর্যন্ত কোথাও কোনো অভিযোগও করতে পারেননি গুলশানারার স্বামী রাজন আহমেদ। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া উপজেলার সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইলেও সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী পান্নাকে নিয়ে হানিমুনও করেন মেয়র নজরুল। হানিমুনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর সবাই মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

জানা যায়, মেয়র নজরুল কয়েক বছর আগে পৌর এলাকার ঝিড়িকা বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যান। ওই অনুষ্ঠানেই সহকারী শিক্ষিকা গুলশানারা পারভীন পান্না নজরে পড়েন মেয়রের। এরপর থেকেই মেয়র বিভিন্ন প্রলোভন দেখান পান্নাকে। কোনোভাবেই যখন পান্না রাজি হয়নি তখন ক্ষমতার দাপট ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রভাব দেখিয়ে পান্নাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন মেয়র। এ বিষয়ে কোনো মামলা করলে পান্নার স্বামী রাজন ও তার সন্তানকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে গুলশানারা পারভীন পান্নার স্বামী ব্যবসায়ী রাজন আহমেদ বলেন, আমার দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসার ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন মেয়র নজরুল ইসলাম। আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক মেয়র সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছেন এবং হুমকি দিয়ে বলে গেছেন, এ বিষয়ে মুখ খুললে আমাকে ও আমার ১৬ বছর বয়সী সন্তানকে হত্যা করা হবে। তাদের ভয়ে আমি সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এদিকে মেয়র নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন গুলশানারা পারভীন পান্না। একদিনের ছুটি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অনুপস্থিত তিনি। তবে স্কুলে না এলেও বেতন ঠিকই তুলছেন পান্না। পৌর মেয়রের স্ত্রী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা মুখ খুলতে নারাজ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *