যে অ’ভিযোগে কুয়েতে বাংলাদেশি এমপি গ্রে’ফতার !!

কুয়েতে মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অ’ভিযো’গে গ্রে’ফতার হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শহীদ ইসলাম। কাজী পাপুল নামে সবার কাছে পরিচিত তিনি।শনিবার (০৬ জুন) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় কুয়েতের অ’পরাধ তদ’ন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রে’ফতার করে।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম আজ রোববার (০৭ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মা’নবপাচা’রকারী সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার সাঁড়াশি অ’ভিযান শুরু করে। ধরপাকড় শুরু হলে নতুন একটি কোম্পানির নাম আলোচনায় চলে আসে। ওই কোম্পানি ১০ হাজার কর্মী কুয়েতে নিয়ে তাদের কাছ থেকে দুই কোটি দিনার আদায় করেছে।

ওই সময় সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের নামে কুয়েতে মানবপাচারে হাজার কোটি টাকার কারবারের অ’ভিযোগ উঠে এসেছে। তাকে নিয়ে কুয়েতের গণমাধ্যমগুলো রিপোর্টও প্রকাশ করেন।তবে দেশটিতে গ্রে’ফতা’র অ’ভিযান শুরুর আগেই এমপি পাপুল দেশে চলে আসেন বলে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।

সম্প্রতি দেশটির নি’রাপত্তা বাহিনী একটি অ’ভিযোগ পাওয়ার পরেই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। জানা যায়, সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে প্রবাসী ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যেতে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার ও আবাসিক খরচ ৫০০ কুয়েতি দিনার আদায় করা হয়েছে।

এদিকে কুয়েতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে দেশটির দৈনিক পত্রিকা আল-কাবাস জানিয়েছে, অর্থ পাচার ও মানব পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতার ”অ’ভিযোগে এক বাংলাদেশিকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রে’ফতার ওই ব্যক্তি ৩ জনের একটি গ্যাংয়ের সদস্য। গ্যাংয়ের অন্য দুই সদস্য আগে থেকে বি’পদ আচ করতে পেরে দেশ থেকে পালিয়েছেন।

আল কাবাস আরও জানায়, এই ৩ ব্যক্তি দেশটির বড় বড় ৩টি কোম্পানির অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কুয়েতে গেছেন। বিনিময়ে ৫ কোটি দিনারেরও বেশি আদায় করেছেন তারা।কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, পত্র-পত্রিকাতে যে বাংলাদেশি নাগরিকের কথা বলা হচ্ছে তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহীদ ইসলাম পাপলু।

সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টির সমঝোতার মাধ্যমে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন পাপুল। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। পরে এক পর্যায়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির প্রার্থী। আলোচনা ছিল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পাপুল ওই প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেন। বিষয়টি নির্বাচনের সময়ই বেশ আলোচিত ছিল।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *