যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ৫০ কোটি ডলার দিয়েছে সৌদি প্রিন্স সালমান !!

সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখতে খরচ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ৫০ কোটি ডলার দিয়েছে রিয়াদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই অর্থ দেওয়া হয়। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এখবর জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর’র খবরে বলা হয়েছে, যদি সত্যি সত্যি গত ডিসেম্বরে ৫০ কোটি ডলার দিয়ে থাকে সৌদি আরব তাহলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, সেনা মোতায়েনের জন্য রিয়াদ ইতোমধ্যে ব্যাংকে ১০০ কোটি ডলার জমা দিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টান আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবের কাছে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ নিশ্চিত করেনি। এমনকি অর্থ যে গ্রহণ করা হয়েছে তাও নিশ্চিত করেনি পেন্টাগন।

তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএ’র খবরে বলা হয়েছে, দুই মিত্র দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এসব আলোচনার মধ্যে রয়েছে সেনা মোতায়েনের খরচের বিষয়টিও। সৌদি আরবের তেল উৎপাদনকেন্দ্রে হামলার পর দেশটিতে সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন।

এর আগে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে বিমান রিফুয়েলিংয়ে সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ দিয়েছে সৌদি আরব। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনার মুখে ২০১৮ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র এই সহযোগিতা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরের মাসেই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই কার্যক্রমের ব্যয় হিসেবে ৩৩০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *