যে কারনে ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে শরীরে – লক্ষণ দেখে সতর্ক হোন !!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মানলে ফুসফুসের ক্যানসারের পরেই পুরুষরা সবচেয়ে বেশি যে ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তা হল প্রস্টেট ক্যানসার। এমনিতে এই ক্যানসার প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়লে প্রাণনাশের ভয় একেবারেই থাকে না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণগুলি চিনতে পারা যায় না। তাই যখন সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে ও রোগ নির্ণয় করা হয়, তখন রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

ইউরোলজিস্ট বাস্তব ঘোষের মতে, ‘বয়স ৫০ পেরলে এই অসুখের শঙ্কা বাড়ে। পিএসএ টেস্ট বা প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট করে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত রক্তে পিএসএ-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। অনেক সময় পরীক্ষা করে দেখা যায় কারও কারও রক্তে পিএসএ-র মাত্রা চারের বেশি রয়েছে। এই মাত্রা ৪ ছাড়ালেই অসুখ বাসা বেঁধেছে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং নিশ্চিত হতে ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট করাতে হয়। তাতে যদি কোনও রকম স্ফীতি লক্ষ করা যায়, তা হলে বায়োপসি করানো হয়।’

১। এই ক্যানসার নির্ণয়ে দেরি হয় বলেই রোগ গাছপালা মেলে শরীরে। তাই এর উপসর্গ চিনে রাখা খুবই জরুরি। রইল সে সবের হদিশ।২। হঠাৎই মূত্রের গতি কমে এলে সচেতন হোন। মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে এই জাতীয় সমস্যা কি না তা পরীক্ষা করান। রিপোর্টে তেমন কিছু না পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণ নিন।

৩। প্রস্রাবের সময় কোনও প্রকার জ্বালা, রক্তপাত বা ব্যথা টের পেলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন সেগুলো কোনও সংক্রমণ জাতীয় কারণে হচ্ছে কি না। না হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।

৪। এই অসুখে তলপেটের সঙ্গে কোমর-মেরুদণ্ডেও ব্যথা হয়। তাই তেমন উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হোন।৫। অনেক সময় এই অসুখ দানা বাঁধলে সঙ্গমের সময় বীর্যের সঙ্গে রক্তপাত হয়। কখনও প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক কী কারণে এমনটা হল, খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাই চিকিৎসকের শরণ নিন।

৬। প্রস্রাবের রং খেয়াল করুন। তা স্বাভাবিকের চেয়ে গাঢ় রঙের বা লালচে আভাযুক্ত হলে ও তলপেটে ব্যথা হলে সচেতন হওয়া জরুরি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *