যে কারনে বাংলাদেশির লা’শ গ্রহণ করেনি বিজিবি !!

গরুচোর সন্দেহে ভারতে গ’ণপিটু’নিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক রণজিৎ রিকমনের (৩৫) ম’রদেহ গ্রহণ করেনি বিজিবি। ঘটনার চারদিন পর বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তর করতে চায়। কিন্তু করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন না থাকায় মরদেহ গ্রহণ করেনি বিজিবি।নিহত রণজিতের বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) সন্ধ্যায় তার মরদেহ হস্তান্তরের জন্য সিলেটের সুতারকান্দি সীমান্তে নিয়ে আসে বিএসএফ।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ১ জুন আসাম রাজ্যের পাথারকান্দি থানার পুতনিছড়া চা-বাগান এলাকায় গরুচোর সন্দেহে কয়েকজনকে পিটুনি দেয় স্থানীয় লোকজন। এতে রণজিৎ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন। এদের মধ্যে একজন হলেন জুড়ীর গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা মুলেম মুন্ডা (৩৬)। বাকি দুইজন ভারতীয় নাগরিক। পরে ভারতীয় পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ওই দিন রাতে বিজিবির জুড়ীর লাঠিটিলা ক্যাম্পে একটি চিঠি পাঠায় বিএসএফ। চিঠিতে রণজিৎ ও মুলেমের নাম-ঠিকানা ভুল থাকায় প্রথমে এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ সন্ধান চালিয়ে ছবি রণজিৎ ও মুলেমের পরিচয় নিশ্চিত হয়। এরপর বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে মরদেহ আনার ব্যবস্থা করে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিএসএফের একটি দল রণজিতের মরদেহ নিয়ে সুতারকান্দি সীমান্তে পৌঁছায়। এ সময় সেখানে বিজিবি, পুলিশ, চিকিৎসক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত রণজিতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন না থাকায় মরদেহ গ্রহণ করেনি বিজিবি।

বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বিএসএফের কাছে আগে তিনটি পেপার চেয়েছিলাম আমরা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, মামলার এজাহারের কপি ও করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন। যেহেতু করোনার অবস্থা ভয়াবহ; তাই আমরা প্রতিবেদন ছাড়া মরদেহ গ্রহণ করিনি। গ’ণপি’টুনির সময় অনেকের সংস্পর্শে আসায় রনজিতের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা মরদেহ গ্রহণ করব। পরে বিএসএফ তার মরদেহ নিয়ে ফিরে যায়। আমরাও ফিরে আসি।

সূত্র-জাগো নিউজ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *