যে ফল নিয়ন্ত্রণ করবে ডায়াবেটিস !!
ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের জন্য যেমন দায়ী। ডায়াবেটিস কখনও পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। খাদ্যাভাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
কালো জামের কথা আমরা সবাই জানি। এই কালো জামের দানা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জামের দানায় রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় কিছু পুষ্টি উপাদান। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জামের দানার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
জামের পুষ্টিগুণ
১.জামের দানায় রয়েছে জ্যামবোসিন এবং জ্যাম্বোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। যা ধীরে ধীরে শর্করার মাত্রা নিয়িন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ও শক্তিযোগায়।
২.জামের দানায় হঠাৎ রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া শরীরে ইন্সুলিনের ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করে।
৩.জাম ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ যা শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইন্সুলিনের উৎপাদন সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে সহায়তা করে।
৪.জামের দানায় থাকা জ্যাম্বোলাইন এবং জ্যাম্বোসিন উপাদানের জন্য তা ঔষধি গুণসম্পন্ন। এ ছাড়াও জামের দানায় রয়েছে অ্যাল্কালয়েডস। যা ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমায়।
৫.জামের দানা উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ। যা হজম ক্রিয়া উন্নত করতে এবং বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে শরীরের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।
৬. আয়ুর্বেদ শাস্ত্র থেকে জানা যায়, জাম অ্যাজমা, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, পেট ফাঁপা ও আমাশয় থেকে রক্ষা করে।৭. জামের মূত্র বর্ধক ক্ষমতার কারণে কিডনি থেকে বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যায়।৮.জামে থাকা আঁশ হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়া বমি বমি ভাব দূর করে।