রাজধানীতে প্রকাশ্যে বিইউপির নারী কর্মকর্তাকে পে’টালেন আইনজীবী !!

রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্য সড়কে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের এক নারী কর্মকর্তাকে পে’টানোর অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম খান মন্টু জজ কোর্টের আইনজীবী বলে জানা গেছে। তিনি পল্লবী থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর আহত নারীর নাম মরিয়ম আক্তার তাপসী। তিনি বিইউপিতে প্রোগাম সহকারী হিসেবে কর্মরত। জানা গেছে, এক মাস আগে তাপসীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন জহিরুল। চাঁদা না দেয়ায় গত ১৩ নভেম্বর অফিসে যাওয়ার পথে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের রাস্তায় তাপসীর পথরোধ করেন জহিরুল ও তার সহযোগীরা। তারা রাস্তার মধ্যেই তাপসীর শ্লীলতাহানি করেন। বাধা দিলে রাস্তায় ফেলে ক্রিকেট ব্যাট, স্টাম্প, হকিস্টিক, রড দিয়ে পিটিয়ে তারা তাপসীকে আহত করেন।

একপর্যায়ে তাপসীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওইদিনই পল্লবী থানায় মামলা করেন তাপসীর ছোট বোন ফারদিনা হক রিনি। আহত তাপসী এখন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রতিনিয়ত জহিরুল হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) রিনি রাজধানীর রূপনগর থানায় একটি জিডি করেছেন। রিনির অভিযোগ, প্রকাশ্যে একজন নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করা হলেও এখনও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি। অথচ তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উপরন্তু মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে হামলাকারীরা। তাদের লাগাতার হুমকি-ধমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা।

তবে রিনির সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন জহিরুল ইসলাম খান মন্টু। তিনি বলেন, ১৩ নভেম্বর আমি এলাকাতেই ছিলাম না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা যুগান্তরকে নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বিইউপির ওই নারী কর্মকর্তাকে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে কারা, কী উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, পূর্ণ তদন্তের পর তা বলা যাবে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি। সম্ভবত তারা জামিনে আছেন।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *