রাজধানীতে বায়ু দূষণের মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে !!

বায়ু দূষণের মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজধানীতে। দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে নাগরিকদের। চিকিৎসকরা বলছেন, ফুসফুস অক্ষম হয়ে পড়া, ব্রংকাইটিস বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন নাগরিকরা। এমন ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও নাগরিকদের সুরক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, দূষণ রোধে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা আছে। সেটি করা গেলে দুই তিন বছরের মধ্যে দূষণের মাত্রা কমে আসবে।

ধুলায় মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতিও। ধুলোর কয়েক আস্তরণ গাছের সবুজ পাতায়। গাছগুলোর মত অরক্ষিত এলাকার বাসিন্দারাও। এ থেকে সুরক্ষার কোন প্রস্তুতি নেই বেশিরভাগ মানুষের।নগরের চারপাশ বৃত্তাকারে ঘিরে রাখা ইটভাটাগুলোও ছড়িয়ে দিচ্ছে ভয়ানক ধোয়ার আস্তরণ। বাতাসে ভেসে এর ক্ষতিকর উপাদান ঢুকছে বাসিন্দাদের ফুসফুসে। আর নগর জুড়ে চলাচলকারী লাখ লাখ মোটর যান থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুকে করে তুলেছে অসুস্থ। এই বায়ু গ্রহনে বাধ্য হচ্ছেন রাজধানীবাসী।

বিষাক্ত ধুলা-ধোয়ায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন এ নগরের মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। মেগা প্রকল্পের নির্মান, অপরিচ্ছন্নতা আর ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে বিষাক্ত বাতাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে ঢাকা। বাসিন্দাদের দাবি, দূষিত নয় নির্মল বায়ু প্রবাহিত হোক নগরজুড়ে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *