রানির পরে পাওয়া গেলো টুনটুনির সন্ধান!

সে একটি সাধারণ বাছুরের চেয়ে ছোট, তাই কৃষক আবুল কাশেমের বাচ্চা ছেলেটি তার নাম রেখেছে টুনটুনি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভাঙা বাছুরটির আকৃতি সাভারের রাণীর মতো। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড রানী সম্প্রতি মারা গেছেন। ৪৩৬ দিনের পুরনো টুনটুনির মধ্যে অনেকেই রানীর বৈশিষ্ট্য খুঁজছেন। বাছুরটির উচ্চতা ২১ ইঞ্চি। ওজন মাত্র ২২ কেজি।

জানা গেছে, এই বাছুরটির জন্ম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের আবুল কাশেম রাড়িতে। গত বছর বাছুরটির জন্ম হয়েছিল। এই খবর শুনে স্থানীয় কিছু লোক গ্রামের এক কৃষকের বাড়িতে দাঁড়িপাল্লা ও ফিতা নিয়ে এসেছিল। সাদা বাছুরটি বাছুরটির দৈর্ঘ্য, পরিধি এবং ওজন পরিমাপ করে।

এই দেশীয় জাতের বাছুরটির উচ্চতা, বয়স এবং ওজন বিবেচনায়, এটি সাভারের রানী নামের ছোট আকারের গরুর থেকে কিছুটা আলাদা যা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তৈরি করেছে। রানীর ওজন ছিল ২৬ কেজি। টুনটুনির ওজন মাত্র ২২ কেজি। রানীর উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি এবং টুনটুনির উচ্চতা ছিল ২১ ইঞ্চি।

গরুর মালিক আবুল কাশেম বলেন, আমার দেশি গরু এর আগেও বেশ কয়েকটি বাছুরের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো ছিল স্বাভাবিক। এই বাছুরটিকে একটি ছোট বামনের মতো আকার দেওয়া হয়েছে।

কৃষক আবুল কাশেমের স্ত্রী জরিনা জানান, একটি ছোট খরগোশ হিসেবে বাছুরটির জন্ম হয়েছে। জন্মের পরপরই তা দ্রুত হাঁটতে শুরু করে। এত ছোট বাছুর তারা আগে কখনো দেখেনি এলাকায়। বাছুরটি দেখতে প্রতিদিন প্রায় সবাই ভিড় করে।

গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। এস এম উকিল উদ্দিন জানান, টুনটুনির ওজন ছিল ২৩ কেজি এবং উচ্চতা ছিল ২২ ইঞ্চি। এটি জিনগত খনিজ এবং হরমোনের ঘাটতির কারণে হতে পারে। আমাদের কয়েকজন ডাক্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। আমি এখনো সেই সাইজের গরু দেখিনি। যাইহোক, যদি এটি রেকর্ডের অধীনে পড়ে তবে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *