শিক্ষকের অপকর্মে অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী‌র সন্তান প্রসব, অতঃপর…

এবার ব‌রিশালের বা‌কেরগ‌ঞ্জে ধ’র্ষ‌’ণে অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী‌ শের ই বাংলা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লের সিজা‌রের মাধ্যমে এক‌টি কন্যা সন্তান প্রসব ক‌রে‌ছে। আজ ১৪ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১২ টার দি‌কে শের ই বাংলা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লের ওটি‌তে সিজা‌রের মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসব ক‌রে ওই শিশু।

এ ব্যাপারে চি‌কিৎসক জানান, শিশু এবং তার মা দুজ‌নেই ঝুঁকিতে র‌য়ে‌ছে। শিশু‌টি‌কে নিবির পর্যবেক্ষণ কে‌ন্দ্রে রাখা হ‌চ্ছে। আর শিশু মা‌য়ের চি‌কিৎসায় নেয়া হ‌চ্ছে স‌র্বোচ্চ ব্যবস্থা।

এর আগে গতকাল শুক্রবার ধ’র্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম। তখন তিনি ওই ছাত্রীর সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন এবং চিকিৎসা ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ১২ বছর বয়স ওই ছাত্রীকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ধ’র্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মা এক শিক্ষকসহ দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থী জানায়, প্রায় ৯ মাস আগে স্কুলের এক শিক্ষক তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে প্রথম ধ’র্ষণ করেন। তখন এক নারী ওই শিক্ষককে ধ’র্ষণে সহায়তা করেন। এরপর এ খবর স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে দুই প্রতিবেশী খালি বাসায় ঢুকে একাধিকবার ওই ছাত্রীকে ধ’র্ষণ করেন। এ ঘটনার পর নির্যাতিতার মা প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মৃদুলা কর জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা জানা যাবে। বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে দিলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টাকার অভাবে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেনি ওই ছাত্রীর পরিবার। অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই ছাত্রীর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জানান চিকিৎসক।

এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট নির্যাতিতার মা বাদি হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ধ’র্ষণকারী শিক্ষক ও দুই প্রতিবেশীর নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবার।

এদিকে নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা মামলায় জুয়েল হাওলাদার নামের তাদের এক প্রতিবেশী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। ওই শিশু চার ভাইবোনের মধ্যে ছোট। তার মা গৃহকর্মীর কাজ করেন এবং বাবা সবজি বিক্রেতা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *